বসুন্ধরার ইন্টারন্যাশনাল করভেনশন সিটির নবরাত্রি হলে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে ‘নতুন লোগো উন্মোচন ও রি-ব্রান্ডিং কার্যক্রম’-এর উদ্ধোধন করেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।
হাসিমুখে নতুন পথে চলার শপথে উন্মোচিত হলো বাংলাদেশের একমাত্র রাষ্ট্রয়াত্ত মোবাইল ফোন অপারেটর টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের লোগো। বসুন্ধরার ইন্টারন্যাশনাল করভেনশন সিটির নবরাত্রি হলে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে ‘নতুন লোগো উন্মোচন ও রি-ব্রান্ডিং কার্যক্রম’-এর উদ্ধোধন করেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।
নতুন লোগো উন্মোচন সম্বন্ধে তারানা হালিম তার ফেসবুক পেজে লেখেন, ‘হাসিমুখে নতুন পথে- স্লোগান নিয়ে আজ থেকে শুরু হচ্ছে টেলিটকের নতুন পথ চলা। টেলিটক আমাদের ফোন, আমাদের দেশ ও জনগণের সেবা প্রদান করায় টেলিটকের প্রধান লক্ষ্য। সেই কথা মাথায় রেখেই আজ থেকে শুরু হলো টেলিটকের নতুন পথ চলা। আমরা আজকে নিয়ে ভাবতে চাই, আমরা আগামী নিয়েও ভাবতে চাই।’
এদিকে টেলিটকের লোগো পরিবর্তনের প্রতিক্রিয়ায় আশিকুর রহমান সৈকত নামে এক ফেসবুক ব্যবহারকারী তার কমেন্টে লেখেন, ‘শুধুমাত্র লোগো পরিবর্তন করে লাভ হবেনা। টেলিটকের নেটওয়ার্কসহ সার্ভিস সিস্টেমের আমুল পরিবর্তন করতে হবে। কাষ্টমার কেয়ারের সার্ভিস অন্যদের তুলনায় অনেক বাজে। সিম পুনঃরেজিস্ট্রেশন পদ্ধতি আরও বাজে। বিষয়গুলো খেয়াল করার জন্য প্রতিমন্ত্রী মহোদয়ের নিকট বিনীত অনুরোধ করছি।’
তাছাড়া মো: আলীনুর ইমন নামে আরেক ফেসবুক ব্যবহারকারী প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিমের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, ‘ম্যাডাম, আমার একটি ছোট মত আছে। তা হলো টেলিটকের নেটওয়ার্ক শক্তিশালী করা। কল রেট এবং অন্য সিমের চেয়ে বেশী অফার দিয়ে দেশের টাকা দেশে রাখা তাহলে সরকারী সিম ব্যবহার করতে মানুষ আগ্রহী হবে।’
প্রসঙ্গত, টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেড ২৯ ডিসেম্বর ২০০৪ সালে যাত্রা শুরু করে। টেলিটক জিপিআরএস, এজ এবং থ্রিজি ইন্টারনেট সংযোগ প্রদান শুরু করে ২০১২ সালের ১৪ অক্টোবর থেকে। দেশে সবার আগে থ্রিজি সেবা চালু করলেও প্রতিষ্ঠানটিতে নানান দুর্নীতির কারণে এতদিন পিছিয়ে ছিল। তারানা হালিম টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই টেলিটকের উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপের অংশ হিসেবে এবার তাদের লোগো বদলে যাচ্ছে।
সূত্র: প্রিয়ডটকম,ডেস্ক।
You must be logged in to post a comment.