সাম্প্রতিক....
Home / প্রচ্ছদ / আন্তর্জাতিক / নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে ফের উত্তেজনা

নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে ফের উত্তেজনা

সীমান্তে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী ও সেনারা। ছবি: সংগৃহীত

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্তের শূন্যরেখায় আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের তাড়াতে ভয়ভীতি অব্যাহত রেখেছে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপি ও সেনারা।

এতে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন শূন্যরেখায় অবস্থানরত প্রায় সাড়ে চার হাজার রোহিঙ্গা। ২০ মে, রবিবার সকাল থেকেই কাঁটাতারের বেড়ার কাছে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে অবস্থান করছেন সেনা ও বিজিপি’র সদস্যরা। পিকআপ ভ্যান ও মোটরসাইকেলযোগে টহল দিচ্ছে সীমান্তের কয়েক কিলোমিটার এলাকা। কিন্তু নতুন করে মিয়ানমার সেনা-বিজিপির সংখ্যা বাড়ায়নি বলে জানা গেছে।

তবে শূন্যরেখার রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়ার অপচেষ্টা রুখতে সীমান্ত অঞ্চলে সতর্কবস্থায় রয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা। সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্টে টহলও বাড়িয়েছে বিজিবি।

বিজিবির তুমব্রু ক্যাম্প কমান্ডার আব্দুল হাকিম জানান, সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের সেনা-বিজিপি সদস্যরা শূন্যরেখার রোহিঙ্গাদের চলে যেতে মাইকিং করছে। অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে কাঁটাতারের বেড়ার কাছে টহল দিতে দেখা যাচ্ছে। মিয়ানমারের অভ্যন্তরেই তারা সবকিছু করছে। সীমান্তের এপারে কোনো ঝামেলা নেই। বিজিবি সর্বদা সতর্কবস্থায় রয়েছে।

কাঁটাতারের বেড়া ঘেঁষেই অবস্থান করছে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী ও সেনারা। ছবি: সংগৃহীত।

ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, ‘শূন্যরেখার রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়ার জন্য মিয়ানমারের সেনা-বিজিপিরা বিভিন্ন ধরণের ভয়ভীতি দেখাচ্ছে রোহিঙ্গাদের। নোম্যান্স ল্যান্ডে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে, শূন্যরেখা থেকে চলে যেতে কিছুক্ষণ পরপর মাইকিং করা হচ্ছে। আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে রোহিঙ্গারা। উদ্বেগ উৎকণ্ঠা বাড়ছে সীমান্তঞ্চলের মানুষদের মাঝেও।’

শূন্যরেখার রোহিঙ্গা ক্যাম্পের দলনেতা নূর হোসেন বলেন, ‘শূন্যরেখা থেকে রোহিঙ্গাদের তাড়াতে মিয়ানমারের সেনা-বিজিপিরা ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। কিছুক্ষণ পর পর মাইকিং করে চলে যেতে বলছে। শনিবার রাতেও মদের খালি বোতল ছুড়ে মেরেছে ক্যাম্পে। অস্ত্র নিয়ে কাঁটাতারের বেড়ার কাছেই ঘুরাঘুরি করছে সেনারা। আতঙ্ক দেখা দিয়েছে শূন্যরেখার রোহিঙ্গাদের মধ্যে।’

গত বছরের আগস্টে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের বাড়ি-ঘর জ্বালিয়ে, হত্যা-নির্যাতন চালানোর কারণে প্রাণ বাঁচাতে কাঁটাতারের বেড়া পেরিয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু সীমান্তের কোনাপাড়া শূন্যরেখায় প্রায় ৮ হাজার রোহিঙ্গা নাগরিক আশ্রয় নিয়েছিল।

বিভিন্ন সময়ে কৌশলে অনেকে কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে চলে গেলেও এখনো শূন্যরেখার আশ্রয় ক্যাম্পে প্রায় সাড়ে চার হাজার রোহিঙ্গা অবস্থান করছে।

সূত্র:আলাউদ্দিন শাহরিয়ার-priyo.com;ডেস্ক।

Share

Leave a Reply

Advertisement

x

Check Also

তীব্র গরমে লামা পৌর মেয়রের পক্ষ থেকে জনসাধারণের মাঝে পানি বিতরণ; কক্সভিউ ডট কম; https://coxview.com/water-distribution-lama-mayor-rafiq-30-4-24-1/

তীব্র গরমে লামা পৌর মেয়রের পক্ষ থেকে জনসাধারণের মাঝে পানি বিতরণ

লামা পৌরসভার মেয়র মোঃ জহিরুল ইসলাম এর পক্ষ থেকে লামা বাজারে জনসাধারণের মাঝে নিরাপদ পানি ...

https://coxview.com/coxview-com-footar-14-12-2023/