এম আবু হেনা সাগর; ঈদগাঁও :
পবিত্র রমজান মাসে ইফতার ও সেহেরীর সময় কক্সবাজার সদর উপজেলার ঈদগাঁওতে লোডশেডিংয়ের মাত্রা বেড়েই চলছে। যাতে করে জনজীবনের পাশাপাশি রোজাদাররা অতিষ্ট হয়ে পড়েছে। আবার নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুত্ সরবরাহের দাবীও উঠেছে।
জানা যায়, সদর উপজেলার গুরুত্ববহ এলাকা বৃহত্তর ঈদগাঁওতে রমজানের ইফতার, তারাবি নামাজ আর সেহরীর সময় দেখা দিয়েছে চরম লোডশেডিং। বর্তমান রমজান মাসটি ব্যবসায়ী মৌসুম হিসাবে পরিচিত হলেও লোডশেডিং নিয়ে মহাবিপাকে পড়েছে তারা। দিনের অন্য সময় বিদ্যুত্ থাকলেও ইফতার, সেহেরী ও তারাবির নামাজের সময় বিদ্যুত্ বিভ্রাট দেখা দেওয়ায় জনমনে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হচ্ছে। পাশাপাশি রোজাদাররা তারাবি, সেহরী ও ইফতারের সময় বিদ্যুতের লোডশেডিং থেকে কিভাবে মুক্তি পায় সে বিষয়েও উপায় খুঁজে পাচ্ছে না কোনমতে।
ব্যস্ততম বাণিজ্যিক এলাকা ঈদগাঁও বাজারে দৈনিক লাখ লাখ টাকার ব্যবসা বাণিজ্য হলেও এখানকার ব্যবসায়ীরা বিদ্যুত্ সমস্যা নিয়ে টেনশনে ভুগছেন দিনের পর দিন। এই লোডশেডিং সমস্যা থেকে কবে মুক্তি পাবে ব্যবসায়ী সহ নানা শ্রেণীর লোকজন। এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে গ্রাহকদের মাঝে। এছাড়া লোডশেডিং শুরু হওয়ায় বিপাকে পড়েছে ব্যবসায়ীরাসহ শিক্ষার্থীরা। বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের কারণে কম্পিউটার, ফটোকপি, প্রিন্ট, নানা ব্যবসা বাণিজ্য, স’মিল সহ নানা কলকারখানা চালাতে ভোগান্তি চরমে পৌছেছে স্ব স্ব ব্যবসায়ীদের মাঝে।
এদিকে বৃহত্তর এলাকার বিভিন্ন বাসাবাড়ীতে লোডশেডিংয়ের কারনে ফ্রিজে রক্ষিত নানা খাদ্যদ্রব্য নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে নানা হাসপাতালে ফ্রিজে রাখা দামী দামী ঔষধপত্রাদি নষ্টের পথে বলে একাধিক সূত্রে প্রকাশ। আবার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা চার দেয়ালের মাঝে গরমে হাবুডুবু খাচ্ছে। এলাকার সচেতন মহলের প্রশ্ন, সদর উপজেলার বৃহত্তর ঈদগাঁও তথা ছয় ইউনিয়নে বিদ্যুত্ লোডশেডিং নিয়ে বিপাকে গ্রামাঞ্চলের লোকজন। তারপর ও মরার উপর খাঁড়ার ঘা হিসাবে বিদ্যুত্ বিল নানা কারণে বেড়েছে বলেও একাধিক লোকজনের অভিযোগ। আবার, লক্ষ লক্ষ টাকার পুঁজি দিয়ে ঈদগাঁও’র ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করতে হিমশিম খাচ্ছে দারুণভাবে লোডশেডিং নিয়ে। অনতিবিলম্বে লোডশেডিং বন্ধ করার আহবান বিশাল এলাকাবাসীর। অনতিবিলম্বে পবিত্র রমজান মাসে ঈদগাঁও জুড়ে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুত্ সরবরাহের জোর দাবী জানিয়েছে ব্যবসায়ী, রোজাদার ও মুসল্লী সমাজ।
You must be logged in to post a comment.