Home / প্রচ্ছদ / পুষ্টি ও স্বাস্থ্য / নিয়ানার ওষুধ স্বাস্থ্যহানিকর -ডাঃ মহিউদ্দিন

নিয়ানার ওষুধ স্বাস্থ্যহানিকর -ডাঃ মহিউদ্দিন

শহীদুল্লাহ্ কায়সার :
কক্সবাজার জেলাব্যাপী দেখা দিয়েছে নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ার মতো সংক্রামক রোগের প্রাদুর্ভাব। এই রোগে আক্রান্তদের মধ্যে নবজাতকসহ শিশুর সংখ্যাই বেশি। গত ২৯ ডিসেম্বর (রবিবার) একদিনেই নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ২ শিশু মারা যায়। কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থাতেই মৃত্যুবরণ করে তারা।

এভাবে হঠাৎ করে সংক্রামক ব্যাধিতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার কারণ শীতের। শীতের তীব্রতা বাড়ার কারণেই নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ার প্রকোপ বাড়ছে। ঠাণ্ডা ও বাসি খাবার পরিহার করাসহ শিশুদের মায়ের দুধ পান করানো এবং পর্যাপ্ত গরম কাপড় পড়িয়ে দিতে হবে। তাহলেই এই রোগের ঝুঁকি থেকে মুক্ত হওয়া যাবে। চিকিৎসকরা এই কথা বলছেন।

কক্সবাজার সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ মোহাম্মদ মহিউদ্দিন জানিয়েছেন, শিশুর সামান্য সর্দি, কাঁশিসহ শ্বাসকষ্ট হলেই নিয়ানা মনে করা ঠিক না। কুসংস্কারাচ্ছন্ন হয়ে সাধারণ মানুষ শিশুদের নিয়ানার নামে বিভিন্ন জনের দেয়া ওষুধ সেবন করায়। যা শিশু স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। এমনকি মৃত্যুরও কারণ। শিশুর সর্দি, কাঁশি হলেই তাকে একজন রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ মতোই নিতে হবে পরবর্তী পদক্ষেপ।

সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক বলেন, পুরো শীত মৌসুমেই নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ার প্রকোপ অব্যাহত থাকবে। এ জন্য সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজ। ৬ মাস পর্যন্ত শিশুদের ফিডার দিয়ে খাদ্য দেয়া যাবে না। শুধুমাত্র মায়ের বুকের দুধ পাণ করাতে হবে। কোন অবস্থাতেই ফিডারের দিয়ে দুধ খাওয়ানো যাবে না। এতে শিশুদের শরীরে অসুখ দ্রæত বাসা বাঁধে। শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমে যায়।

এদিকে, দিনদিন সংক্রামক ব্যাধিতে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ায় জেলা সদর হাসপাতালে বেড সংকট দেখা দিয়েছে। অতিরিক্ত বেড দিয়েও কাজ হচ্ছে না। গত ২৯ ডিসেম্বর (রবিবার) কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের শিশু ও ডায়রিয়া ওয়ার্ড ঘুরে জানা গেছে, হাসপাতালের নিউমোনিয়া ওয়ােের্ড শুধু গতকালই শ্বাসকষ্টজনিত রোগে আক্রান্ত ১৫ শিশুকে ভর্তি করা হয়। ৩০ শয্যার এই ওয়ার্ডে গতকাল ভর্তি ছিলো ৬৩ রোগী। যাদের অধিকাংশই শ্বাসকষ্টজনিত রোগে আক্রান্ত।

অন্যদিকে, ২০ শয্যার ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছে ৬৬ জন। এই ওয়ার্ডেও বয়স্ক রোগির চেয়ে শিশুর সংখ্যা বেশি। ডায়রিয়া ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ৭ মাস বয়সী শিশু ইভান এর মা জানালেন, জোহরের নামাজের সময় তাঁর সন্তানকে ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ভর্তি করানো হয়। বমি আর পাতলা পায়খানা হওয়ায় তিনি ইভানকে হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছেন। বমি বন্ধ হলেও পাতলা পায়খানা কিছুতেই কমছে না বলেও জানান তিনি।

Share

Leave a Reply

Advertisement

x

Check Also

https://coxview.com/wp-content/uploads/2018/10/Tharmameter.jpg

দেশে আরও ৩ দিনের হিট অ্যালার্ট জারি

  অনলাইন ডেস্ক :দেশজুড়ে বইছে তাপপ্রবাহ। গরমে জনজীবনে হাঁসফাঁস অবস্থা। এ অবস্থায় দেশজুড়ে তাপপ্রবাহ অব্যাহত ...

https://coxview.com/coxview-com-footar-14-12-2023/