মুকুল কান্তি দাশ; চকরিয়া :
গাড়িতে আছে মিটার, বিদ্যুতের তারসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম। সঙ্গে আছেন দু’জন লাইনম্যান ও একজন ওয়ারিং পরিদর্শক। প্রতিদিন সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত গ্রামে গ্রামে ঘুরছেন তারা। গ্রাহক বিদ্যুৎ নিতে চাইলে মাত্র পাঁচ মিনিটেই পেয়ে যাচ্ছেন সংযোগ। কোন হয়রানি নেই, দিতে হবে না কোনো বাড়তি টাকা।
ব্যতিক্রমী এই উদ্যোগের নাম দেওয়া হয়েছে ‘আলোর ফেরিওয়ালা’। এর উদ্যোক্তা কক্সবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি চকরিয়া জোনাল অফিস পল্লী বিদ্যুতের উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মোহাম্মদ মোছাদেকুর রহমান।
তিনি জানান, একবছর পূর্বে শুরু হয় এই কার্যক্রম। চকরিয়া, পেকুয়া ও লামা উপজেলায় সব বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ না পৌছানো পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলবে।
“আলোর ফেরিওয়ালা” নামের ব্যানার নিয়ে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় হাজির হচ্ছেন। ৯ মার্চ সকালে বরইতলী ইউনিয়নের বিবিরখিল এলাকায় নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার জন্য পৌছে যান তারা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- কক্সবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মহাব্যবস্থাপক (জিএম) মো. আক্তারুজামান লস্কর, চকরিয়ার জোনাল অফিসের সহকারী (এজিম) আমিনুর লুৎফুর ও ওয়ারিং পরিদর্শক গোপাল দাশ, কক্সবাজার জেলার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ভাইস চেয়ারম্যান হায়দার আলী ও সাংবাদিক মোহাম্মদ উল্লাহ।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির পরিচালক হায়দার আলী বলেন, পরিচালক হওয়ার পর থেকে প্রতিদিন প্রতিটি গ্রামে গ্রামে গিয়ে নতুন পুরাতন, গ্রাহকদের সেবা দেওয়ার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছি। আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে শতভাগ বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হচ্ছে। দিনরাত কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছি। ২১টি নতুন সংযোগ দেওয়া হয়েছে।
বর্তমানে ২৮টি ইউনিয়নে ৮৪ হাজার ১৭৪ পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহক রয়েছে। প্রতিদিনই নতুন সংযোগ দেওয়ার কাজ চলছে। তাছাড়া সরকার ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌছে দিতে কাজ করে যাচ্ছে। সেই জায়গায় গ্রাহক হয়রানির শিকার হবেন, এটা হতে পারে না। তাই তিনি বিকল্প উদ্যোগ নেন।
তিনি আরও বলেন, বাড়ি বাড়ি গিয়ে নতুন সংযোগ কীভাবে দেওয়া যায়, সেই পরিকল্পনা নেন। ‘আলোর ফেরিওয়ালা, নামেই চলছে এই কার্যক্রম।
চকরিয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মোহাম্মদ মোছাদেকুর রহমান জানান, গাড়িতে মিটার, তার থেকে শুরু করে সবধরণের সরঞ্জাম থাকছে। দু’জন লাইনম্যান ও একজন ওয়্যারিং পরিদর্শক থাকছেন ওই গাড়িতে করে গ্রামে গ্রামে ঘুরছেন। ইতোমধ্যে বাড়িতে বসে নতুন সংযোগ পেয়েছেন বরইতলী ইউনিয়নের বিবিরখিল চরপাড়া গ্রামের জসিম উদ্দিন ও হেলাল উদ্দিন।
You must be logged in to post a comment.