হামিদুল হক; ঈদগড় :
কক্সবাজার জেলার কৃষি প্রধান এলাকা ঈদগড় ইউনিয়নে বোরো চাষ নিয়ে কৃষকরা ব্যস্ত সময় পার করছে। ছড়ার পানি ও গভীর নলকূপের পানি দিয়ে দিনরাত সেচকাজে ব্যস্ত রয়েছে কৃষক। তবে কৃষি অফিসের দেয়া পানির মূল্য তালিকা উপেক্ষা করে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কৃষকদের কাছ থেকে ছড়ার পানির জন্য অতিরিক্ত টাকা আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, এ বছর ঈদগড়ের হাসনাকাটা, ধুমছাকাটা, বড়বিল, বউঘাটা, ছগিরাকাটা, করলিয়ামুরা, ঠুটারবিল, পানিশ্যাঘোনা সহ বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক হারে বোরো চাষাবাদ করা হয়েছে। সরকারিভাবে কৃষি অফিস থেকে বিদ্যুৎচালিত মিটার ও ডিজেল ব্যবহার করে গভীর ও অগভীর নলকূপের পানি ব্যবহার এবং প্রধান সেচযন্ত্র ব্যবহারকারীদের কৃষি জমিতে পানি সেচের মূল্য তালিকা নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। কিন্তু সেই নিয়ম উপক্ষো করে বিদ্যুৎ ও ডিজেলচালিত নলকূপের মালিকরা কৃষকদের কাছ থেকে জোরপূর্বক অধিক টাকা আদায় করে নিচ্ছে। কোন কোন জায়গায় নলকূপের মালিকরা কৃষকদের জমি নিয়ে নিজেরাই জমি চাষাবাদ করছে।
স্থানীয় কয়েকজন কৃষক জানান, বোরো মৌসুমে প্রতি কানি জমিতে ট্রাক্টর খরচ, রোপণ, সার ও বিষ, পানি, জমিন লাগিয়ত, ধান কাটা সহ সর্বমোট কৃষকের কাছে খরচ হয় ১৬-১৭ হাজার টাকা। বাজারে ধানের মূল্য যদি উচ্চ থাকে তাহলে কৃষকরা লাভবান হবে। অন্যথায় কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ধানের মূল্য যদি বৃদ্ধি পায় তাহলে কৃষকরা বাঁচবে।
ঈদগড়ের এক জনপ্রতিনিধি জানান, এলাকায় ছড়ার পানির ওপর অধিকাংশ কৃষক নির্ভরশীল। ছড়ার পানি বিক্রির ব্যাপারে বিভিন্নজনের কাছ থেকে বিভিন্ন ধরনের কথা শোনা যাচ্ছে। অনেক কৃষককে লিখিত অভিযোগ দেয়ার জন্য বলা হয়েছে। পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের এক কর্মকর্তা বলেন, ঈদগড়ে বোরো চাষাবাদে কৃষকরা চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ পাচ্ছে। বোরো সেচ জমিতে বিদ্যুৎ চাহিদা পূরণ হয়েছে। এখন বিদ্যুৎ ঘাটতি নেই।
You must be logged in to post a comment.