সাম্প্রতিক....
Home / প্রচ্ছদ / পেকুয়ায় কাবিখা প্রকল্পে ৮ টন বরাদ্দের কাজ ৩টনেই শেষ!

পেকুয়ায় কাবিখা প্রকল্পে ৮ টন বরাদ্দের কাজ ৩টনেই শেষ!

kabikha -  Shagir -9-1-2016 (news & 2pic) f1 (1)এস.এম.ছগির আহমদ আজগরী; পেকুয়া :

কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার টইটং ইউনিয়নের হাজী বাজার এলাকায় একটি রাস্তায় মাটি ও ফ্লাট সলিং দ্বারা উন্নয়নের জন্য চলতি অর্থ বৎসরের প্রথম পর্যায়ে কাবিখা প্রকল্পের আওতায় ৮টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। স্থানীয় সংসদ সদস্যের নির্বাচনী এলাকার জন্য প্রাপ্ত বরাদ্দ হতে প্রকল্পটিতে ৮ টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। আর এ প্রকল্পের সভাপতি করা হয়েছে টইটং ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আবুল কালাম ও প্রকল্পের সদস্য সচিব টইটং ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সভাপতি আবদুল খালেক প্রকাশ আবদু।

এদিকে স্থানীয়দের অভিযোগের সূত্রে ৮ জানুয়ারী শুক্রবার সকালে সরেজমিনে প্রকল্প এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে যে, স্থানীয় সংসদ সদস্য হাজী বাজার থেকে বন কানন পর্যন্ত রাস্তার মাটি ও ফ্লাট সলিং দ্বারা উন্নয়ন ও হাজী বাজার জামে মসজিদে সোলার স্থাপন প্রকল্পের অনুকূলে এ ৮টন কাবিখা চাল বরাদ্দ দেন। প্রকল্পের সদস্য সচিব জাপা নেতা আবদু খালেক মসজিদে ১০/১১হাজার টাকা দামের একটি সোলার স্থাপন করে। আর হাজী হাজার থেকে বন কানন পর্যন্ত রাস্তায় কোন ধরনের উন্নয়ন সংষ্কার করেননি।

স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, নির্ধারিত প্রকল্প বাস্তবায়ন না করে জাপা নেতা আবদু খালেক অন্য একটি সড়কে মাত্র দুই চেইনের মতো জায়গায় নিম্নমানের ইট লাগিয়েছেন মাত্র। এ যেন শুভংকরের ফাঁকি!

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, প্রকল্প নির্ধারিত সড়কে কাজ না করলেও জাপা নেতা আবদু খালেক অন্য সড়কে ফ্লাট সলিং করেছেন। আবার সেখানেও নিম্নমানের ইট লাগানো হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, প্রকল্পের সিংহভাগ অর্থ লোপাটের জন্য জাপা নেতা আবদুল খালেক এ অনিয়মের আশ্রয় নিয়েছেন। অপর একটি সড়কে মাত্র ৩০হাজার টাকা ব্যয় করে বরাদ্দকৃত প্রকল্পের সিংহভাগ অর্থই তিনি নিজের পকেটে ভর্তি করে লোপাটের আয়োজন সম্পন্ন করেছেন বলে প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা এমনই অভিযোগ জানতে পেরেছেন বলে মন্তব্য করেন স্থানীয়রা। জানা গেছে, ৮ টন চালের বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় লক্ষাধিক টাকার উপরে।

অভিযোগের ব্যাপারে জাপা নেতা আবদু খালেক প্রকাশ আবদুর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, যথা নিয়মে তিনি প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্পন্ন করেছেন। সেখানে কোন ধরনের অনিয়ম করা হয়নি। প্রকল্প বাস্তবায়নে তাদের আরো ঘাটতি রয়েছে!

পেকুয়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সৌভ্রাত দাশ এ ব্যাপারে জানান, ওই প্রকল্পের বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে খুব দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রকল্পে দুর্নীতি হলে কোন ধরনের ছাড় দেওয়া হবেনা। পেকুয়ায় কর্মসৃজন প্রকল্পের বেতন উত্তোলনকালে চলছে।

Share

Leave a Reply

Advertisement

x

Check Also

https://coxview.com/wp-content/uploads/2023/01/BGB-Rafiq-24-1-23.jpeg

বিপুল পরিমাণ পপিক্ষেত ধ্বংস করল বিজিবি

মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম; লামা-আলীকদম : পার্বত্য জেলা বান্দরবানে থানচি উপজেলা গহীণ অরণ্যে মাদক দ্রব্য প্রস্তুতকারক ...

https://coxview.com/coxview-com-footar-14-12-2023/