মুকুল কান্তি দাশ; চকরিয়া :
কক্সবাজারের চকরিয়ার চিংড়িজোন ঘেষা চিরিঙ্গা ইউনিয়নের চরণদ্বীপ ডলুখালী পাড়ায় দুটি অস্ত্র তৈরীর কারখানার সন্ধান পাওয়ার পর ২০টি আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি ও অস্ত্র তৈরীর সরঞ্জামসহ ৬ জনকে গ্রেফতারের ঘটনায় মামলা হয়েছে। র্যাব-৭ কক্সবাজার ক্যাম্পের ডিএডি (এমসিপিও) মো. সোলতান মাহমুদ বাদী হয়ে সোমবার বিকাল আড়াইটায় চকরিয়া থানায় মামলাটি দায়ের করেন। অস্ত্র আইনে দায়ের করা মামলায় ধৃত ৬জন ও পলাতক দুই জনের নাম উল্লেখপূর্বক ৮জনকে আসামী করা হয়েছে।
মামলার আসামীরা হলেন-গ্রেফতার হওয়া ৬জন চকরিয়ার ফাঁশিয়াখালী ইউনিয়নের ছাইরাখালী পাহাড়ী গ্রামের ইদ্রিস আহমদের ছেলে নুরুল্লাহ (৪৫), একই এলাকার নুরুল ইসলামের স্ত্রী জনু আরা বেগম (৩৫), পূর্ব বড় ভেওলার ইদমনির মৃত আবদুল বাসেদের ছেলে নুরুল আলম (৫০), কুতুবদিয়া উপজেলার কাজির পাড়ার আমির হোছনের ছেলে মহিউদ্দিন (২৪), একই উপজেলার উত্তর ধুরং এলাকার নূর মোহাম্মদের দুই ছেলে আবদুল মান্নান (৩৫) ও আয়ুব খান (২৭)। পলাতক দুইজন চিরিঙ্গা ইউনিয়নের সওদাগরঘোনার ইমাম রশীদের ছেলে আবদুল জলিল ও ধৃত জনু আরার স্বামী মৃত দেলোয়ার হোসেনের ছেলে নুরুল ইসলাম।
মামলার এজাহারে দাবী করা হয়েছে, গোপনসূত্রে খবর পেয়ে র্যাব কক্সবাজারের টিম চিরিঙ্গা ডলুখালী পাড়ায় অভিযান চালায়। রবিবার ভোর ৪টা থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত ৬ঘন্টার অভিযানকালে রাইফেলসহ ২০টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়।
মান্নান ও জনু আরার বাড়িতে গড়ে তোলা অস্ত্রের কারখানা থেকে অস্ত্র তৈরীর বিভিন্ন সরঞ্জাম ও ৪৯ রাউন্ড গুলি উদ্ধার হয়। ৬জনকে গ্রেফতারের পূর্বেই এজাহারনামীয় অপর দুইজন পালিয়ে যায়।
You must be logged in to post a comment.