সাম্প্রতিক....
Home / প্রচ্ছদ / ক্রীড়া / ফিরে দেখা বাংলাদেশের পাঁচ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ

ফিরে দেখা বাংলাদেশের পাঁচ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ

Bangladesh-in-World-ইয়াসিন হাসান, ধর্মশালা থেকে : এশিয়া কাপে দারুণ খেলা বাংলাদেশের সামনে এখন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ মিশন। সোমবার মাশরাফি বিন মুর্তজার দল ভারতের ধর্মশালায় পৌঁছে মঙ্গলবার সকালে এখানে অনুশীলন করে। বুধবার বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে ৩টায় নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ষষ্ঠ আসর এটা। মোট ১৬টি দল টুর্নামেন্টে অংশ নিচ্ছে। টুর্নামেন্টে ম্যাচ হবে ৩৫টি। ২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজক বাংলাদেশ পূর্বের পাঁচটি আসরেই অংশ নিয়েছে। সাফল্য-ব্যর্থতা মিলে বিশ্বকাপে বাংলাদেশে টি-টোয়েন্টি রেকর্ড।

আগের পাঁচ আসরে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স পাঠকদের জন্যে তুলে ধরা হলো:

২০০৭ (প্রথম আসর, আয়োজক দক্ষিণ আফ্রিকা)

মাত্র ৪টি-টোয়েন্টি খেলার অভিজ্ঞতা নিয়ে বিশ্বমঞ্চে মাঠে নেমে যায় বাংলাদেশ। মোহাম্মদ আশরাফুল সেবার বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। প্রথম ম্যাচেই বিশ্বকে চমক দেখায় বাংলাদেশ। ক্রিস গেইল, সারওয়ান, ব্রাভোদের ওয়েস্ট ইন্ডিজকে মাটিতে নামিয়ে আনেন আশরাফুল, আফতাব ও সাকিবরা।

গ্রুপপর্বে বাংলাদেশ ৬ উইকেটে হারিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। গ্রুপপর্বে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৭ উইকেটে হারলেও বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত সুপার এইট খেলতে সক্ষম হয়। তবে সুপার এইটে তিন জায়ান্ট অস্ট্রেলিয়া, শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের সঙ্গে পেরে ওঠেনি বাংলাদেশ। অস্ট্রেলিয়া ও পাকিস্তানের বিপক্ষে ৯ ও ৪ উইকেটে এবং শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৬৪ রানের পরাজয়ে সেমিফাইনালে ওঠা সম্ভব হয়নি বাংলাদেশের।

Bangladesh-in-World-2

২০০৯ (দ্বিতীয় আসর, আয়োজক ইংল্যান্ড)

২০০৯ বিশ্বকাপে বাংলাদেশ তুলনামূলক সহজ গ্রুপে পড়েছিল। কিন্তু কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে না পারায় গ্রুপপর্বে বাংলাদেশের সফর শেষ হয়। ‘এ’ গ্রুপে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ছিল ভারত ও আয়ারল্যান্ড।

শক্তির বিচারে আয়ারল্যান্ড সে সময় বাংলাদেশ থেকে অনেকটা পিছিয়ে ছিল। র‍্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু ভারতের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ২৫ রানে হেরে যাওয়ার পর দ্বিতীয় ম্যাচেও বাংলাদেশ আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে হেরে যায় ৬ উইকেটে।

Bangladesh-in-World-4২০১০ (তৃতীয় আসর, আয়োজক ওয়েস্ট ইন্ডিজ)

ইংল্যান্ডে সফলভাবে বিশ্বকাপ আয়োজনের পরের বছরই ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে বিশ্বকাপ আয়োজন করে আইসিসি। কিন্তু বাংলাদেশের কপাল সেবারও খোলেনি। গ্রুপপর্বে বাংলাদেশের সামনে টানা তিনবারের ওয়ানডে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া ও ২০০৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পাকিস্তান। ফলাফল গ্রুপপর্বেই স্বপ্নের সমাপ্তি।

তবে সাগরপারের স্টেডিয়াম সেন্ট লুসিয়ায় বাংলাদেশ দুই পরাশক্তির বিপক্ষে লড়াই করেছিল। পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ হেরে যায় ২১ রানে। আশরাফুল করেছিলেন ২৯ বলে ৬৫ রান। দ্বিতীয় ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে হেরে যায় ২৭ রানে। সেবার অস্ট্রেলিয়াকে ১৪১ রানে আটকে দিয়েছিল টাইগাররা।

Bangladesh-in-World-3

২০১২ (চতুর্থ আসর, আয়োজক শ্রীলঙ্কা)

মহাদেশ পাল্টালেও পাল্টায়নি বাংলাদেশের ভাগ্য। আফ্রিকা মহাদেশ ছেড়ে বাংলাদেশ চলে আসে উপমহাদেশে। কিন্তু গ্রুপপর্বে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ পাকিস্তান। টানা দুই আসর গ্রুপ পর্বে পাকিস্তানের সঙ্গ পায় বাংলাদেশ। লঙ্কানদের মাটিতে পাকিস্তান ও বাংলাদেশের বিপক্ষে একই গ্রুপে নিউজিল্যান্ড।

আগের বছর নিউজিল্যান্ডকে ওয়ানডেতে ওয়াইটওয়াশ করায় অনেকেই স্বপ্ন দেখেছিল বিশ্বকাপেও কিউইদের হারাবে বাংলাদেশ। কিন্তু তাদের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি বাংলাদেশ। ব্রেন্ডন ম্যাককালাম ৫৮ বলে ১২৩ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে বাংলাদেশকে হারের তিক্ত স্বাদ দেন। পরের ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ পাকিস্তান। সাকিবের ৫৪ বলে ৮৪ রানে বাংলাদেশ ১৭৫ রানের পুঁজি পায়। জবাবে পাকিস্তান টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে ৮ উইকেটে জয়ের স্বাদ নেয়। ইমরান নাজির ৩৬ বলে করেছিলেন ৭২ রান।

Bangladesh-in-World-6২০১৪ (পঞ্চম আসর, আয়োজক বাংলাদেশ)

ঘরের মাঠে নতুন নিয়মে ২০১৪ সালের বিশ্বকাপে মাঠে নামে বাংলাদেশ। সেবার গ্রুপপর্ব থেকে উতরে বাংলাদেশকে মূলপর্বে খেলতে হয়। গ্রুপপর্বে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ছিল নেপাল, আফগানিস্তান ও হংকং। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৯ উইকেটের বিশাল জয় নিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করে বাংলাদেশ।

পরের ম্যাচে নেপালকেও দাঁড়াতে দেয়নি সাকিব-মুশফিকুর রহিমরা। কিন্তু শেষ ম্যাচে হংকংয়ের কাছে হেরে যায় ২ উইকেটে। ভাগ্য ভালো থাকায় রানরেটে বেঁচে যায় বাংলাদেশ। মূলপর্বে উঠে বাংলাদেশ নিজেদের সামনে পায় ভারত, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, পাকিস্তান ও অস্ট্রেলিয়াকে। দুর্বার এ চার দলের বিপক্ষে মাঠের লড়াইয়ে শুধু অভিজ্ঞতা অর্জন করে বাংলাদেশ। ঘরের মাঠে সুপার টেনেই স্বপ্নের করুণ সমাপ্তি।

সূত্র: রাইজিংবিডিডটকম,ডেস্ক।

Share

Leave a Reply

Advertisement

x

Check Also

কোয়ান্টাম কসমো স্কুলের হ্যান্ডবল টিম জাতীয় চ্যাম্পিয়ন, #https://coxview.com/quantum-cosmo-school-and-college-sports-rafiq-2-10-23/

কোয়ান্টাম কসমো স্কুলের হ্যান্ডবল টিম জাতীয় চ্যাম্পিয়ন

  মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম; লামা-আলীকদম : সিলেটে অনুষ্ঠিত ৫০তম গ্রীষ্মকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় হ্যান্ডবল ফাইনাল ...

https://coxview.com/coxview-com-footar-14-12-2023/