মুকুল কান্তি দাশ; চকরিয়া :
কক্সবাজারের চকরিয়ায় ডাকাতি ও চুরি আশংকাজনক হারে বেড়ে গেছে। ডাকাতর আতংকে গ্রামীণ জনপদের মানুষের ঘুম হারাম অবস্থা। অন্যদিকে, চুরি-ডাকাতি রোধে অভিযান অব্যাহত রেখেছে পুলিশ। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ও বিভিন্ন বসত বাড়ি ডাকাতির অভিযোগে ৩জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় ১টি দেশীয় তৈরী এলজি, ২ রাউন্ড তাজা কার্তুজ, নগদ ৫ হাজার টাকা ও জব্দ করা হয় ১টিসিএনজি চালিত টেক্সি।
গ্রেপ্তারকৃত ডাকাতরা হলেন- চকরিয়া পৌরসভার হালাকাকারার মোক্তার আহমদের ছেলে আব্দু শুক্কুর (২৭), পূর্ব বড় ভেওলার ঈদমনি এলাকার নেজাম উদ্দিনের ছেলে নুরুল ইসলাম প্রকাশ লালু (২৫) ও সাহারবিল ইউনিয়নের চোয়ারফাঁড়ি এলাকার নুরুল আমিনের ছেলে আবদুল্লাহ প্রকাশ খোকন (২৬)।
কক্সবাজার সদর সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) কাজী মোহাম্মদ মতিউল ইসলামের নেতৃত্বে চকরিয়া থানার অপারেশন অফিসার তানভীর আহমেদ, এসআই মো.আলমগীর, সুকান্ত চৌধুরী ও রফিকুল ইসলামের পুলিশ ফোর্স নিয়ে উপজেলার খুটাখালী, পূর্ব বড় ভেওলা, সাহারবিলসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালায়।
পুলিশি অভিযানকালে খুটাখালীর মেধাকচ্ছপিয়ার মইক্যাঘোনা এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ধাওয়া দিয়ে গ্রেপ্তার করা হয় আব্দু শুক্কুর (২৭)কে।এসময় তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ১টি এলজি ও ২ রাউন্ড তাজা কার্তুজ।
থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো.আলমগীর জানান, ধৃত শুক্কুরের স্বীকারোক্তিমতে তাত্ক্ষণিক অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয় নগদ ৫ হাজার টাকা ও ডাকাতিতে ব্যবহৃত সিএনজি টেক্সিসহ নুরুল ইসলাম লালু এবং আবদুল্লাহ ওরফে খোকনকে। গ্রেপ্তার হওয়া লালু স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দিতে লক্ষ্যাচরের ফরিদ আহমদ সিআইপি, হাসপাতাল পাড়ার আবদুল্লাহ আল-সাঈদ ও বাটাখালীর প্রবাসী এক হিন্দুর বাড়ীসহ কয়েকটি বাড়ীতে ডাকাতি করেছে বলে স্বীকার করেছে। ফলে, ধৃতদের বিরুদ্ধে থানার এসআই সুকান্ত চৌধুরী বাদী হয়ে ডাকাতির প্রস্তুতি ও অস্ত্র আইনে দুটি পৃথক দুটি এবং আবদুল্লাহ সাঈদ বাদী হয়ে দায়ের করা অপর একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
এদিকে, মঙ্গলবার রাতেও চকরিয়া পৌরশহরের সবুজবাগ এলাকায় হানিফ ম্যানসনে ডাকাতি ও ওই এলাকা থেকে তিনটি মোটর সাইকেল চুরির ঘটনা ঘটেছে বলে এলাকার লোকজন জানায়।
You must be logged in to post a comment.