বঙ্গোপসাগরে সব ধরনের বাণিজ্যিক ট্রলার দিয়ে মত্স্য আহরণ নিষিদ্ধ করেছে সরকার।
‘মাছের সুষ্ঠু প্রজনন এবং সামুদ্রিক মত্স্য সম্পদ সংরক্ষণের জন্য’ বাংলাদেশের সামুদ্রিক অর্থনৈতিক এলাকায় ৬৫ দিন এই নিষেধাজ্ঞা থাকবে বলে মত্স্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
রোববার মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বেধে দেওয়া সময়ে সব ধরনের মাছ ও ক্রাস্টাশিয়ান (চিংড়ি, লবস্টার, কাটলফিস ইত্যাদি) আহরণ নিষিদ্ধ থাকবে।
এই ৬৫ দিন বাণিজ্যিক ট্রলার দিয়ে মাছ ধরলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে হুঁশিয়ার করা হয়েছে।
গত বছর ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের একচ্ছত্র অর্থনৈতিক অঞ্চলে প্রথমবারের মতো সব ধরনের বাণিজ্যিক ট্রলার দিয়ে মত্স্য আহরণ নিষিদ্ধ করে সরকার।
মত্স্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. ছায়েদুল হক এবার উপকূলীয় এলাকার ‘মেকানাইজড ও নন-মেজানাইজড’ সব নৌযানকে এ নিধেধাজ্ঞার আওতায় আনার ইংগিত দিলেও শেষ পর্যন্ত তা করা হয়নি।
মিয়ানমার ও ভারতের সঙ্গে সমুদ্রসীমার বিরোধ নিস্পত্তি হওয়ায় বর্তমানে এক লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গ কিলোমিটার টেরিটোরিয়াল সমুদ্র ও ২০০ নটিক্যাল মাইল একচ্ছত্র অর্থনৈতিক অঞ্চলে বাংলাদেশের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
এর মধ্যে তটরেখা থেকে ৪০ মিটার গভীরতা পর্যন্ত প্রথম পর্যায়ে ৩২ হাজার ৪৪০ বর্গ কিলোমিটার এলাকায় প্রায় ৬৮ হাজার যান্ত্রিক ও অযান্ত্রিক ছোট ট্রলার এবং জেলে নৌকা মাছ ধরে। ওই এলাকায় সরকারের লাইসেন্সপ্রাপ্ত কোনো বাণিজ্যিক ট্রলার মাছ ধরতে পারে না।
লাইসেন্সধারী ট্রলারগুলোর জন্য দুটি স্তরে সামুদ্রিক এলাকা ভাগ করে দেওয়া রয়েছে।
সাগরে মত্স্য আহরণের দ্বিতীয় স্তরটি হলো ৪০ মিটারের পর থেকে ২০০ মিটার গভীরতা পর্যন্ত এলাকা। আর ২০০ মিটার গভীরতার এলাকা থেকে একান্ত অর্থনৈতিক এলাকার সীমানা পর্যন্ত হলো তৃতীয় স্তর।
এই দুটি স্তরে সরকার অনুমোদিত ২৪১টি বাণিজ্যিক ট্রলার মাছ ধরতে পারে।
উন্নত প্রযুক্তি ও ট্রলার ব্যবহার করে সমুদ্রে অনিয়ন্ত্রিত মত্স্য আহরণ বাড়তে থাকায় বাংলাদেশের সামুদ্রিক মত্স্য সম্পদ হুমকির মুখে পড়তে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে আসছেন।
সূত্র:sheershanewsbd.com
You must be logged in to post a comment.