মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম; লামা :
দেশব্যাপী সনাতন ধর্মালম্বীদের মন্দিরে, বসতবাড়ি, দোকান-পাটে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটে বিএনপির নেতা-কর্মীরা জড়িত। তারা নীল-নকশা করে তা সরকার দলীয় লোকজনের উপর চাপাতে চাচ্ছে। আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীরা সকল ধর্মের প্রতি সহনশীল। সারাদেশে মন্দির হামলার ঘটনায় বিএনপির নেতারা বিভিন্ন টিভির টকশো, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়াতে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দিয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চাচ্ছে। বিএনপির নেতারা মিথ্যাচার করছে।
শুক্রবার (২২ অক্টাবর) বিকেল ৪টা থেকে শুরু হয়ে ৬টা পর্যন্ত বান্দরবানের লামা উপজেলা প্রেস ক্লাবের ৩য় তলা হলরুমে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলন লামা পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ জহিরুল ইসলাম এইসব কথা বলেন।
লামা বাজার গত ১৪ অক্টোবর তহিদী জনতার ব্যানারে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশকে কেন্দ্র করে উপজেলা আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও পৌর মেয়রকে জড়িয়ে আরটিভি ও সময় টিভির টকশোতে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ ইমরান ছালেহ প্রিন্স কর্তৃক মিথ্যাচারের প্রতিবাদ এই সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় উপস্থিত ছিলেন, লামা উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল, লামা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বাথায়াইচিং মার্মা, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য ফাতেমা পারুল, শখ মাহাবুবুর রহমান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ জাহেদ উদ্দিন, লামা কেন্দ্রীয় হরি মন্দিরের সভাপতি প্রশান্ত ভট্টাচার্য, সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ কান্তি দাশ, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ রফিক সহ প্রমূখ। এসময় লামা উপজেলায় কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্য পৌর মেয়র মোঃ জহিরুল ইসলাম বলন, গত ১৪ অক্টাবর কুমিল্লার একটি বিষয়ক কেন্দ্র করে লামা বাজার তহিদী জনতার ব্যানারে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে সবাইকে চলে যেতে বললেও অতি উৎসাহি কিছু লোকজন পূজামন্ডপের প্যান্ডেল ও বাজারের হিন্দু সম্প্রদায়ের কিছু দোকান পাঠ ভাংচুর করে। ঘটনার দিন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আমি ও আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা লামা বাজারের সার্বিক সম্প্রীতি, শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য কাজ করে। অথচ জাতীয়তাবাদী দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ ইমরান ছালেহ প্রিন্স বেসরকারি চ্যানেল আরটিভি ও সময় টিভির টকশোতে আওয়ামী লীগ ও পৌরসভার মেয়রকে জড়িয়ে মিথ্যাভাবে তথ্য উপস্থাপন করে জাতিকে বিভ্রান্ত করেছে। আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাই।
সভায় লামা কেন্দ্রীয় হরি মন্দিরের সভাপতি প্রশান্ত ভট্টাচার্য ও সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ কান্তি দাশ বক্তব্য রাখেন। তারা বলেন, লামা হরি মন্দিরের ঘটনায় পৌর মেয়র ও আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা প্রাণপন চেষ্টা করে হামলা থেকে আমাদের রক্ষা করে। বিএনপির এই নেতা আমাদের কারা সাথে কোন কথা না বলে কিভাবে এমন উদ্ভট কথা বলেন আমরা জানিনা। আমরা সৈয়দ ইমরান ছালেহ প্রিন্স এর বক্তব্যের প্রতিবাদ জানাই।
You must be logged in to post a comment.