সাম্প্রতিক....
Home / জাতীয় / বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস আজ

বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস আজ

World_Populatio_Day

বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস আজ। জনসংখ্যাকে সম্পদ বলা হলেও অতিরিক্ত জনসংখ্যা সম্পদ নয়, বরং বোঝা। অপুষ্টি, অপর্যাপ্ত শিক্ষার সুযোগ, বেকারত্ব, চিকিত্সা সেবার অপ্রতুলতা ইত্যাদি সমস্যার মূলে রয়েছে অতিরিক্ত জনসংখ্যা।

১৯৮৭ সালের ১১ জুলাই  বিশ্বের জনসংখ্যা ৫০০ কোটিতে উন্নীত হয়। এর ফলে ইউএনডিপির গভর্ন্যান্স কাউন্সিল প্রতিবছর দিনটিকে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস হিসেবে পালন করার প্রস্তাব করে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বিশ্বজুড়ে দিবসটি পালনের সিদ্ধান্ত হয়।

দিবসটি পালনের উদ্দেশ্য হচ্ছে, জনসংখ্যা বিষয়ক সমস্যাগুলো সকলকে জানানো এবং তা গুরুত্ব দিয়ে সমাধান করা। তাই মানুষের মধ্যে সচেতনা সৃষ্টির উদ্দেশ্য নিয়ে ১৯৮৯ সাল থেকে জাতিসংঘের উদ্যোগে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস পালিত হচ্ছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো এবারও বাংলাদেশ দিবসটি পালন করছে।

দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘কিশোরীদের জন্য বিনিয়োগ, আগামী প্রজন্মের সুরক্ষা।’ বাংলাদেশ পৃথিবীর অন্যতম ঘনবসতপূর্ণ দেশ হওয়াতে বিষয়টি এখানে অনেক বেশি প্রাসঙ্গিক। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলেও এখনো সেটা উদ্বেগজনক। বাংলাদেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধির বর্তমান হার ১.৩৯ শতাংশ এবং এ হারে বৃদ্ধি পেতে থাকলে ২০৫০ সালে জনসংখ্যা ২২ কোটি ২৫ লাখে পৌঁছবে।

আমাদের জনসংখ্যার উল্লেখযোগ্য অংশ হলো কিশোর-কিশোরী। কিশোরীরা আগামী প্রজন্মের ধারক। একজন কিশোরীর সুস্থতার ওপর নির্ভর করে ভবিষ্যত্ প্রজন্মের সুস্থতা। তাই আগামী প্রজন্মকে সুস্থ ও সুরক্ষিত করতে হলে কিশোরীদের বেড়ে ওঠাকে সুস্থ ও নিরাপদ করতে হবে। তাদের জন্য বিনিয়োগের ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। আগামী বছরগুলোতে দেশের মোট প্রজনন হার ও জনসংখ্যা বৃদ্ধির হারকে এরাই প্রভাবিত করবে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাবমতে প্রতি মিনিটে বিশ্বে ২৫০টি শিশু জন্মগ্রহণ করে আর বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করে ৯টি শিশু। এক জরিপে দেখা গেছে যে, বর্তমানে জন্মগ্রহণকারী ১০০ জন শিশুর মধ্যে ৯৭ জন জন্মগ্রহণ করে তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে, যে দেশগুলো এমনিতেই অধিক জনসংখ্যার দেশ। তাই বিষয়টি ভাববার বৈকি।

বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বাণী দিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ তার বাণীতে নতুন ও আগামী প্রজন্মের জন্য একটি সুন্দর ও নিরাপদ বিশ্ব রেখে যেতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘দেশের কিশোরীদের প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য ও প্রজনন সেবা নিশ্চিত করা আমাদের সকলের দায়িত্ব। বাল্যবিবাহের মতো অন্যান্য সামাজিক ব্যাধি থেকে আমাদের কিশোরীদের রক্ষা করতে ব্যাপক সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।

দিবসটি উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে- সুস্থ সবল জাতি গঠনে পরিবার পরিকল্পনা, মা-শিশু ও প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের ক্ষেত্রে দেশজুড়ে তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত গড়ে ওঠা সকল সেবা-অবকাঠামোসমূহের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সকলকে আরো নিবেদিত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী  বলেন, ‘বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার উল্লেখযোগ্য অংশ কিশোরী। আজকের কিশোরী আগামী দিনের জননী। তাই এদের সুস্বাস্থ্য, শিক্ষা ও দক্ষতার ওপর দেশের ভবিষ্যত্ সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন অনেকখানি নির্ভর করে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০১৪ সালে যুক্তরাজ্যে অনুষ্ঠিত গার্ল সামিটে ২০২১ সালের মধ্যে ১৫ বছরের নিচে বাল্যবিবাহকে শূণ্যের কোঠায় নামিয়ে আনা, ২০২১ সালের মধ্যে ১৫-১৮ বছর বয়সের মধ্যে সংঘটিত বাল্যবিবাহের হারকে এক-তৃতীয়াংশে নামিয়ে আনা ও ২০৪১ সালের মধ্যে বাল্যবিবাহমুক্ত বাংলাদেশ গঠনে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ।’

জনসংখ্যাকে জনসম্পদে রূপান্তর করতে পারলেই দেশের সার্বিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে বলে  উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘এ জন্য সুনাগরিক হিসেবে কিশোরীদের গড়ে তোলার ব্যয়কে আমরা বিনিয়োগ হিসেবে মনে করি।’

সূত্র:risingbd.com

Share

Leave a Reply

Advertisement

x

Check Also

চট্টগ্রামের পরিবেশ রক্ষায় শক্তিশালী কমিশন গঠন করার প্রস্তাব -এমএএফ’র সেমিনারে

  প্রেস বিজ্ঞপ্তি : প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, আন্দোলন সংগ্রাম ও রাজনৈতিক সম্প্রীতির চারণভূমি চট্টগ্রাম। নানা কারণে ...

https://coxview.com/coxview-com-footar-14-12-2023/