শত শত লবণ মাঠ, ফসলী জমি, ক্ষেত খামার, একাধিক প্রজেক্টসহ নিরাপদ পানির সংকট দেখা দেওয়ার পাশাপাশি দৈনিক সকাল-সন্ধ্যা জোয়ারের পানির সাথে লড়াই করে যাচ্ছে কক্সবাজার সদর উপজেলার চৌফলদন্ডীবাসী। তাদের দুঃখ-দুর্দশা দেখার যেন কেউ নেই। জোয়ারের পানির সাথে প্রতিনিয়ত যুদ্ধ করে যাচ্ছে এখানকার নারী-পুরুষ। সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, সদরের উপকূলবর্তী ইউনিয়ন হচ্ছে চৌফলদন্ডী। এ ইউনিয়নের লোকজন দীর্ঘদিন ধরে সকাল-সন্ধ্যা দৈনিক দু’বার করে জোয়ারের পানির সাথে হাবুডুবু খাচ্ছে। এমনকি ইউনিয়নের আওতাভ‚ক্ত নতুন মহাল, ঘোনাপাড়া, তিনঘরিয়া পাড়া, খামার পাড়া, সিকদার পাড়া, মাতবর পাড়া, ঘোনা পাড়া, বাজার পাড়া, দক্ষিণ পাড়ার সহস্রাধিক পরিবার প্রায়শঃ জোয়ারের পানির সাথে লড়াই সংগ্রাম করে যাচ্ছে। যার কারণে নানা শ্রেণী-পেশার লোকজনের চলাফেরায় দারুন অসুবিধার সৃষ্টি হচ্ছে। সে সাথে নারীরা এক প্রকার বসতবাড়ীতে বন্দী বললেই চলে। পাশাপাশি লবণাক্ত পানির কারণে বাড়ীঘরের গাছপালায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। আবার চৌফলদন্ডী ওয়াপদা বেড়ীবাঁধের ৪টি পয়েন্ট ভেঙ্গে যাওয়ায় জোয়ারের সময় পাশ্ববর্তী এলাকার লোকজনও বসতবাড়ী পানিবন্দী হয়ে পড়ে বেশির ভাগই। সে সাথে নিরাপদ পানি সংকটে রয়েছে বহু পরিবারের লোকজন। এছাড়াও শত শত লবণ মাঠ, ফসলী জমি, ক্ষেত খামারে বর্তমানে জোয়ার-ভাটায় পানি আর কর্দমাক্তের কারণে চাষাবাদ কার্যক্রম অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে।
ওয়াপদা বেড়ীবাঁধের ৪টি ভাঙ্গনকৃত পয়েন্ট দ্রুততম সময়ে সংস্কারের জোর দাবী জানান যুবলীগ নেতা কামাল উদ্দীন, হারুনুর রশিদ, রাজা মিয়া, আমানুল হক, ছাত্রলীগ নেতা নুুরুচ্ছবিহ। অন্যথায় জোয়ারের পানির কবল থেকে এলাকাবাসীকে রক্ষা করা অসম্ভব হয়ে পড়বে বলেও জানান। চৌফলদন্ডী ব্রীজ ঘাটের ব্যবসায়ী আশরাফ আলী, জালের বহদ্দার ফরিদুল আলম, জেলে আমিরুল ইসলাম জানান, জোয়ার-ভাটায় চৌফলদন্ডীবাসী পানির সাথে হাবুডুবু খাচ্ছে প্রতিনিয়ত।
চৌফলদন্ডী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আবুল হাশেম জানান, এলাকার লোকজন চরম কষ্টে দিনাতিপাত করছে। যা আসলে দুঃখজনক বলেও উল্লেখ করেন। চৌফলদন্ডী আ’লীগ সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান মনির জানান, বেড়ীবাঁধ সংস্কার না হলে আগামী লবণ মৌসুমে চাষীরা চাষাবাদ করতে না পারলে লাখ লাখ টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হবে সরকার।
চৌফলদন্ডী ইউপি প্যানেল চেয়ারম্যান ফরিদুল আলম মুঠোফোনে জানান, বর্তমানে ইউনিয়ন জুড়ে প্রায় দু’হাজার একর লবণ মাঠের চাষাবাদ অনিশ্চয়তায়। এলাকাবাসী কঠিন অবস্থায় দিন যাপন করছে।
You must be logged in to post a comment.