দীপক শর্মা দীপু; কক্সভিউ :
পৌরশহরের বড় বাজারে জায়গা দখল করে অবৈধভাবে নির্মিত বড় বাজার মৎস্য ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। ২৭ জুলাই দুপুরে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোজাম্মেল হক রাসেলের নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে প্রায় ১০০ ফুট দৈর্ঘ্য টিন বাঁশের এই অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। এ ঘটনায় মৎস্য ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতি বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করে।
সরেজমিনে দেখা যায়, দুপুর আড়াইটার দিকে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোজাম্মেল হক রাসেলের নেতৃত্বে একদল পুলিশ কক্সবাজার পৌরসভার কাউন্সিলর, কর্মকর্তা কর্মচারীসহ শ্রমিকরা বড় বাজার মৎস্য ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির স্থাপনা উচ্ছেদ করে। এ সময় সমিতির কিছু নেতা বার বার বাধা দেয়ার চেষ্টা করে। তাদের উপেক্ষা করে উচ্ছেদ অভিযান সম্পন্ন করে। উচ্ছেদের বৈধতা বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে পৌর কাউন্সিলর হেলাল উদ্দিন কবির এ প্রতিবেদককে বলেন, সম্পূর্ণ অবৈধ ভাবে স্থাপনা নির্মাণ করে ব্যবসায়ী সমিতি। তাই পৌরসভার বর্তমান ভারপ্রাপ্ত মেয়র মাহাবুবুর রহমান চৌধুরী এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য জেলা প্রশাসকের নিকট আবেদন করেন। তার আবেদনের প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসক উচ্ছেদ আদেশ জারী করেন। এ আদেশে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের নেতৃত্বে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। উচ্ছেদের প্রতিবাদে তাৎক্ষণিক ভাবে বিক্ষোভ মিছিল করে ব্যবসায়ীরা।
সমিতির সভাপতি সিরাজুল মোস্তফা ও সাধারণ সম্পাদক সরওয়ার করিম বলেন, ভারপ্রাপ্ত মেয়র এর নির্দেশে সমিতির স্থাপনা নির্মাণ করা হয়। পৌরসভার সচিবকে ১ লাখ টাকা ঘুষ না দেয়ায় সমিতির স্থাপনা ভেঙ্গে দেয়া হয়েছে। এতে আমাদের ২ লাখ টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। পৌরসভা নিজেদের খরচে সমিতির স্থাপনা তৈরি করে না দেয়া পর্যন্ত মাছ ও শুটকি বাজার অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ থাকবে।
এ ব্যাপারে মোবাইল ফোনে ভারপ্রাপ্ত মেয়র মাহাবুবুর রহমান চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন সমিতির নামে পৌরসভার জায়গায় স্থাপনা নির্মাণ করার জন্য কাউকে অনুমতি দেওয়া হয়নি। তাদের বৈধ কোন ভিত্তি নেই।
কক্সবাজার পৌরসবার সচিব শামসুজ্জামানের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, “আমি চাকুরিজীবী। আমি স্থাপনা তৈরি করা বা স্থাপনা উচ্ছেদ করার অনুমতি দেয়ার ক্ষমতা আমার নেই। সুতরাং আর্থিক সুবিধা নেয়ার প্রশ্নই উঠে না।
You must be logged in to post a comment.