নেপাল ও ভারতের আসামে মৌসুমি বৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যা ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। গৃহহীন হয়ে পড়েছেন প্রায় ৪ কোটি মানুষ। এখন পর্যন্ত অন্তত ১৮৯ জনের প্রাণহানি হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছেন আরও অনেকে।
চীনের তিব্বত থেকে ভারত ও বাংলাদেশ হয় প্রবাহিত ব্রহ্মপুত্রের পানি বৃদ্ধির ফলে ফসল নষ্ট ও ভূমিধস হয়েছে এবং কয়েক কোটি মানুষ গৃহহারা হয়েছেন বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। আসামের এক রাজ্য কর্মকর্তা জানান, মে মাসের শেষ দিক হতে শুরু হওয়া তিন ধাপের বন্যায় ২৭ লাখ ৫০ হাজার মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ৭৯ জনের।
এ ব্যাপারে আসামের পানি সম্পদমন্ত্রী কেশাব মহন্ত বলেন, বন্যা পরিস্থিতির এখনও অবনতি বিদ্যমান। বেশিরভাগ নদীর পানিই বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ভারতের এই রাজ্যটি এক সঙ্গে করোনা মহামারি ও বন্যার কবলে পড়েছে। ৩৩টি জেলার মধ্যে ২৫টিতে করোনা রোগী রয়েছে।
এদিকে, প্রতিবেশী দেশ নেপালের সরকার রবিবার জনগণকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ভারি বৃষ্টির আশঙ্কা করা হচ্ছে। জুন থেকে শুরু হওয়া বন্যা ও ভূমিধসে শতাধিক প্রাণহানি হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা মুরারি ওয়াস্তি জানিয়েছেন, এখনও ৪৮ জন নিখোঁজ থাকায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। তল্লাশী ও উদ্ধার অভিযান চলছে, তবে জীবিত উদ্ধারের সম্ভাবনা খুব কম।
সূত্র:deshebideshe.com – ডেস্ক।
You must be logged in to post a comment.