মাদক ও মানবপাচারে যারা জড়িত ভাল হয়ে যান, না হলে আগামীতে পরিণাম ভয়াবহ হবে বলে সাব জানিয়ে দেন। তবে স্থানীয়রা মানবপাচার বন্ধে এগিয়ে এসেছে। যারা কয়েকজন ভিকটিমকে ধরে বিজিবির হাতে সোপর্দ করেছে আমি তাদের আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাতে এসেছি। টেকনাফের দূর্নাম আপনারাই রক্ষা করুন। সম্মিলিত প্রচেষ্টায় টেকসই সামাধান একমাত্র ভাল ফল বয়ে আনবে বলে জানায় টেকনাফ ২ বর্ডার র্গাড ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল মোঃ আবু জার আল জাহিদ।
তিনি ২৮ ডিসেম্বর সোমবার বিকালে টেকনাফ সাবরাং কাটাবনিয়া-কচুবনিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মিলনায়তনে মানব পাচার প্রতিরোধ প্রচারণা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন।
তিনি আরো বলেন, যারা এখনো মানব পাচারের মত ঘৃণ্য কাজে জড়িত তাদের হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করা হয়। সরকার মাদক ও মানব পাচারকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইন হাতে নিয়েছে। বিশেষ করে মানব পাচারকারীদের জন্য একটি মানব পাচার অধ্যাদেশ জারী করে মৃত্যুদন্ড কার্যকরে বিধান রাখা হয়েছে। আপনারা পাচারকারীদের চিহ্নীত করে খবর দিন, তাদের নির্মুল করা হবে। মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডে গণকবরের কারো না কারো আত্মীয়, সন্তান বা কারো বাবা, স্বামী রয়েছে। তাদের পরিবারের অবস্থা দেখুন এবং শিক্ষা নিন। আগামীতে কেউ মানব পাচারের জড়িত হলে তাদেও পরিণাম হবে ভয়াবহ। আমি যা বলি, তাই করি। মানবপাচারের পাশাপাশি মাদক ইয়াবার সাথে যারা জড়িত দেখবেন তাদের পরিণতি কি হয়। সম্পদ অর্জন করা বড় কথা নয়, সেই সম্পদ আরামে ভোগ করাই হচ্ছে বড় নেয়ামত। আজ যারা বহুতল ভবন, আলীশান বাড়ীর মালিক তারা বাড়ীতে থাকতে পারছেনা, আগামীতেও পারবেনা বলে জানায়।
মানবপাচার প্রতিরোধ প্রচারণা সভায় বক্তব্য রাখেন সাবরাং ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ হামিদুর রহমান, জেলা যুবলীগের সহ সভাপতি আবুল কালাম, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নুর হোসাইন, দৈনিক সাগর দেশের নির্বাহী সম্পাদক সাইফুল ইসলাম সাইফী, ইউপি সদস্য শব্বির আহমদ ও কবির আহমদ প্রমুখ।
সভা শেষে বিজিবি অধিনায়ক মানব পাচার প্রতিরোধে সহযোগীতা করায় স্থানীয় কয়েকজনকে নিজ হাতে মিষ্টিমুখ করে উৎসাহীত করেন এবং কাটাবনিয়া, কচুবনিয়া ও হারিয়াখালীর মানুষকে সাহসীকতার সহিত মানবপাচারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ার আহবান জানান। এসময় টেকনাফে কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ, এলাকার সচেতন মহল ও সর্বস্তরের জনগণ উপস্থিত ছিলেন।
You must be logged in to post a comment.