স্বাস্থ্যখাতের আলোচিত ঠিকাদার মিঠু সিন্ডিকেটের ভেতরে নিজস্ব আরেকটি পারিবারিক সিন্ডিকেট গড়ে তোলেন মিঠুর ভাতিজি ও রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালকের সাবেক পিএ উম্মে সুলতানা নওশিন। আর এই সিন্ডিকেটের মূল দায়িত্ব পালন করছেন নওশিনের স্বামী বেলাল হোসেন। সবশেষ কোভিড মোকাবিলায় সরকারি বরাদ্দের ১শ কোটি টাকা কেনাকাটার কাজটি স্ত্রী’র মাধ্যমে পান বেলাল। কোন রকম নিয়ম-নীতি না মেনেই কাজটি তাকে দেয়া হয়।
কোভিড মোকাবিলায় সরকার প্রাথমিকভাবে রংপুর মেডিকেলে ১শ’ কোটি টাকার বরাদ্দ প্রদান করে। হাসপাতালের ঠিকাদারসহ অনেকের অভিযোগ, এই বরাদ্দ থেকে মাস্ক, পিপিই, কিটসহ অন্যান্য উপকরণ সরবরাহের মোটা অংকের টাকার কাজটি কোন নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে নওশিনের মাধ্যমে স্বামী বেলাল হোসেনকে দেয়া হয়। পরিচালকের পিএ হয়েও নওশিন ছিলেন টেন্ডার কমিটির সদস্য।
কৌশলী শাহাদাত হোসেন ঠিকাদার বলেন, ‘অন্য ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সাথে প্রতিযোগিতা না করেই এই বেলালের প্রতিষ্ঠানের নাম দিয়ে প্রায় ১০০ কোটি টাকার কাজ নেয়।’
রংপুরের করোনা প্রতিরোধে নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক খন্দকার ফকরুল বলেন, ‘আত্মীয় স্বজনের নামে লাইসেন্স করে কাজ বাগিয়ে নিয়ে গেছে।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রংপুরের আল আরাফা ব্যাংকের পায়রা চত্বর শাখায় সিনিয়র অফিসার পদে থাকা অবস্থায় চাকরি ছেড়ে দিয়ে দু’বছর আগে রংপুর মেডিকেলের সরবরাহ কাজ করছেন বেলাল হোসেন। এ ব্যাপারে কথা বলতে কয়েকবার ব্যক্তিগত ফোন নম্বরে কল করলেও ধরেননি তিনি।
রংপুর মেডিকেলের পরিচালক ডা. ফরিদুল ইসলামের দাবি, বেলাল হোসেনকে তিনি চেনেন না এবং নওশিনের স্বামী সেটাও জানতেন না।
এ অবস্হায় পুরো ঘটনা তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি উঠেছে বিভিন্ন মহল থেকে।
রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি সাফিয়ার রহমান বলেন, ‘কি কি কেনা হয়েছে তা খতিয়ে দেখা উচিত।’
বাংলাদেশ জনস্বাস্থ্য অধিকার আন্দোলন সাধারণ সম্পাদক বেলাল আহমেদ বলেন, ‘এত বড় একটা দুর্নীতি হওয়ার পরেও কেনো প্রশাসন এটা ব্যবস্থা নিচ্ছে না।’
সময় সংবাদে গত ৪ জুলাই প্রতিবেদন প্রচারের পর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশে নওশিনকে লালমনিরহাটে বদলি করা হয় ৫ জুলাই। কিন্তু পরিচালকের দপ্তর ও হিসাব বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ ফাইলপত্রসহ অফিসের চাবি না বুঝিয়ে চলে যাওয়ায় কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পরিচালক।
সূত্র:somoynews.tv – ডেস্ক।
You must be logged in to post a comment.