কামাল শিশির; রামু :
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্তের ওপারে মিয়ানমার ভূখন্ডে মাইন বিস্ফোরণে বাংলাদেশী এক যুবক গুরতর আহত হয়েছে।
শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ২ টার দিকে মিয়ানমার সীমান্ত জিরোলাইন ঘেঁষে ৩৫ নং পিলারের কাছাকাছি গেলে হঠাৎ মাইন বিস্ফোরণে অন্যথাইন (২৫) তংচঞ্চগ্য গুরতর আহত হয়। সে তুমব্রু হেডম্যান পাড়ার অংক্যথাইন তঞ্চঙ্গ্যার ছেলে।
আহত যুবককে প্রথমে কুতুপালং এমএসএফ হাসপাতাল পরে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে বেশী গুরুতর আঘাত হওয়ায় চট্টগ্রামে রেফার করা হয়।
স্থানীয় পাড়ার হেড়ম্যান থাইনচাপ্রু জানান মিয়ানমার সীমান্ত জিরোলাইনের ৩৫ নং পিলার কাছাকাছি চোরাই পথে গরু আনতে গেলে হঠাৎ মাইন বিস্ফোরণে অন্যথাইন তংচঞ্চ্যা নামে যুবকের পা উড়ে যায়। ওই ঘটনার পাশাপাশি এলাকায় একটি গরুও মারা যায় বলেও জানান তারা ।
এ ঘটনার পর সীমান্তে লোকজনদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নাইক্ষ্যংছড়ির উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সালমা ফেরদৌস জানিয়েছেন সীমান্তে নিরাপত্তা বাহিনী টহল উদ্ধার করেছে এবং স্থানীয়দের সীমান্ত এলাকায় যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
এদিকে, বিজিবি লোকজনদের সীমান্তের আশপাশে যেতে দিচ্ছনা। এ ঘটনার পর সীমান্তে বিজিবি টহল ও নজরদারি বেড়ে দিয়েছে।
পুলিশ জানায়, দুপুরে অথোয়াইং তংচঞ্চগ্য
ও অপর এক যুবক জিরো লাইনের কাঁটাতারের বেড়া এলাকায় যায়। সেখানে হঠাৎ মাইন বিস্ফোরণে অথোয়াইং তংচঞ্চগ্য এর বাম পা উড়ে যায়। তাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে প্রথমে কুতুপালং এমএসএফ হাসপাতাল পরে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। গুরুতর আহত হওয়ার কারনে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে বলে জানা যায়।
এ ঘটনার পর সীমান্তে বিজিবি টহল ও নজরদারি বেড়ে দিয়েছে। টহলরত অবস্থায় বিজিবি জোয়ানেরা জানান, কি কারণে ওই দুই যুবক বিজিবির নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও জিরো লাইনে গিয়েছিল তা এখনো জানা যায়নি। তবে ধারনা করা হচ্ছে মায়ানমারের সেনাবাহিনী অথবা বিচ্ছিন্নতাবাদী আরাকান আর্মি সীমান্তে এসব মাইন পুঁতে রেখেছে।
উল্লখ্য গত এক মাসের বেশি সময় ধরে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি মায়ানমার সীমান্তে সেদেশের বিচ্ছিন্নতাবাদী আরাকান আর্মির সাথে সেনাবাহিনী ও সীমান্ত রক্ষি বিজিপির মধ্যে লড়াইকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ ঘটনায় বেশ কয়েকটি মটারসেল ও গুলি এসে পড়েছে বাংলাদেশের মধ্যে। সীমান্তে নিরাপত্তা বাড়িয়েছে বর্ডার গার্ড বিজিবি।
You must be logged in to post a comment.