সুদর্শনা ২০ বছর বয়সী তরুণী জান্নাতুল নাঈম এভ্রিল। ‘লাভেলো মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ’ নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। আসন্ন চীনে অনুষ্ঠিতব্য ৬৭তম বিশ্ব সুন্দরী প্রতিযোগিতার মূল আসরে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন এভ্রিল। এছাড়াও প্রথম রানার আপ হন জেসিয়া ইসলাম, দ্বিতীয় রানার আপ হন জান্নাতুন সুমাইয়া হিমি। জমকালো পরিসরে গত শুক্রবার রাত ৮ টা বেজে ১০ মিনিটে পর্দা উন্মোচিত হয়েছিল ‘লাভেলো মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ ২০১৭’ এর গ্র্যান্ড ফিনালের। রাজধানীর বসুন্ধরা ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারের (আইসিসিবি) নবরাত্রি হলে এই আয়োজনের চূড়ান্ত প্রতিযোগিতা শুরু হয়।
কিন্তু মূল ঘটনা হচ্ছে, একাধিক গণমাধ্যম ও কয়েকটি ঘনিষ্ঠ সূত্র থেকে জানা যায় যে, ছয় বিচারক শম্পা রেজা, চঞ্চল মাহমুদ, জুয়েল আইচ, বিবি রাসেল, রুবাবা দৌলা মতিন- এরা কেউই জান্নাতুল নাঈম এভ্রিলকে মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ হিসেবে বিজয়ী নির্বাচন করেননি। তারা বিজয়ী নির্বাচিত করেছিলেন- যিনি রানার আপ হন, সেই জেসিয়া ইসলাম হিমিকে। কিন্তু আয়োজকদের জালিয়াতির কারণে নাকি বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে এভ্রিলের নাম। আর এটা নিয়েই বর্তমানে চলছে আলোচনা ও সমালোচনা।
এদিকে বিচারকদের মধ্যে কেউই নাম প্রকাশ করতে চাচ্ছিলেন না। কিন্তু অবশেষে কিংবদন্তী অভিনেত্রী ও ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ’ এর ছয় বিচারকের একজন শম্পা রেজা গণমাধ্যমে মুখ খুললেন এবং বললেন, ‘দেখুন, আমরা তো ভালো চাই, আমরা যে কাজটা করি, মন দিয়ে করি। আমার জাজমেন্টের সাথে যেটা প্রকাশিত জাজমেন্ট, সেটার কোনো মিল হয়নি। দুজন ছিলেন আমার তালিকায়। কিন্তু প্রথমজন আমার লিস্টেই ছিলেন না। আমরা ছয়জন বিচারক মিলে নাম বিজয়ীর নাম ঘোষণা করি জেসিয়া ইসলামকে। কিন্তু আয়োজকরা এভ্রিলের নাম প্রকাশ করেন।
তিনি আরও বলেন, ‘তারাতো আমাদেরই দেশের মানুষ, খারাপ চাই না। কিন্তু কোনো রকম অন্যায়ও যেন না হয় এটাও তো চাই। এটা যেহেতু ইন্টারন্যাশালি যাবে তো খুব যত্নসহকারে হওয়া উচিত, তাই না?’
অন্যদিকে ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ’ আয়োজনকারী প্রতিষ্ঠান অন্তর শো বিজের চেয়ারম্যান স্বপন চৌধুরী গণমাধ্যমে বলেছেন, ‘এ বিষয়টি নিয়ে কোনো ধরনের বিভ্রান্তির সুযোগ নেই। আয়োজক হিসেবে আমিই তো রায় দিব। আমিই পয়সা দিয়ে বিচারক নিয়োগ করেছি। আর এমন সব বিচারক নিয়োগ করেছি, যারা সবাই আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন। তাদের রায়েই এভ্রিল বিজয়ী হয়েছে।’
উল্লেখ্য, ওইদিন এভ্রিলকে বিজয়ী ঘোষণা করার কারণে বিচারকদের মধ্যে থেকে কেউ কেউ অনুষ্ঠান ছেড়ে উঠে চলে গিয়েছিলেন। এবং বিচারকরা ক্ষুব্ধ হয়ে গণমাধ্যমে বলেছেন আয়োজকরাই যদি তাদের পছন্দ মতো বিজয়ীর নাম প্রকাশ করবে, তাহলে আমাদের রেখেছিল কেন? তবে বিচারকদের মধ্যে কেউ নাম প্রকাশ করতে চাচ্ছেন না। এখন তাহলে কি হবে? এভ্রিলই কি বিজয়ী থেকে যাবেন নাকি আসল বিজয়ী সামনে আসবে? এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে মিডিয়া পাড়ায়।
সূত্র: কুদরত উল্লাহ-priyo.com,ডেস্ক।
You must be logged in to post a comment.