সাম্প্রতিক....
Home / প্রচ্ছদ / শরণার্থী সমাচার / যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউ’র আর্থিক ঘোষণা রোহিঙ্গা তহবিলে

যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউ’র আর্থিক ঘোষণা রোহিঙ্গা তহবিলে

কক্সবাজারের একাধিক শিবিরে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের বেঁচে থাকার জন্য এ বছর (২০১৯ সাল) ৭৭৩ কোটি টাকার (৯২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ মুদ্রা) তহবিল প্রয়োজন বলে ঘোষণা দিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার হাইকমিশনারের কার্যালয়। এই ঘোষণার পরপরই যুক্তরাষ্ট্র সরকার ৬০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ইউরোপিয়ন ইউনিয়ন (ইইউ) ২৪ মিলিয়ন ইউরো সমপরিমাণ মুদ্রা ওই তহবিলে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে।

জেনেভায় জাতিসংঘের সদর দপ্তরে শুক্রবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) অনুষ্ঠিত যৌথ বৈঠকে (জয়েন্ট রেসপন্স প্ল্যান) জাতিসংঘেরর শরণার্থী সংস্থা এবং বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলো (এনজিও) বৈঠক করে জানিয়েছে, রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলা করতে চলতি বছর ৯২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ মুদ্রার তহবিল প্রয়োজন।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়াল আলম বাংলাদেশের পক্ষে ওই বৈঠকে প্রতিনিধিত্ব করেছেন বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বার্তায় জানিয়েছে।

এরপরই যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ১৫ ফেব্রুয়ারি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, রোহিঙ্গা সঙ্কট মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্র সরকার ৬০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের আর্থিক সহায়তা দিবে। যাতে স্বাগতিক বাংলাদেশসহ এই সঙ্কট মোকাবিলা করতে বৈশ্বিক উন্নয়ন সংস্থা এবং বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলোর সুবিধা হয়।

যুক্তরাষ্ট্র আরো জানায়, এই সঙ্কট কাটিয়ে উঠতে বিগত ২০১৭ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ৪৪৯ মিলিয়ন ডলারের আর্থিক সহায়তা দিয়েছে দেশটি। যার মধ্যে ৪০৬ মিলিয়ন ডলার বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের সুরক্ষায় খরচ করা হয়।

অন্যদিকে, রোহিঙ্গা ইস্যূতে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার হাইকমিশনারের কার্যালয় থেকে তহবিল সংগ্রহের ঘোষণার পর ইইউ বলেছে যে, তারা ২৪ মিলিয়ন ইউরো সমপরিমাণ মুদ্রা ওই তহবিলে দিবে।

‘রোহিঙ্গা সঙ্কট মোকাবিলা করতে ইইউ শুরু থেকেই সহায়তা করছে’ উল্লেখ করে ইউরোপিয় কমিশন ১৫ ফেব্রুয়ারি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা ২৪ মিলিয়ন ইউরোর সমপরিমাণ মুদ্রা ওই তহবিলে দিবে। যার মধ্যে কক্সবাজারের একাধিক শিবিরে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর খাদ্য, স্বাস্থ্য, পুষ্টি, শিক্ষা, আবাসন খাতে ১৯ মিলিয়ন ইউরো খরচ করা হবে। বাকি ৫ মিলিয়ন ইউরো খরচ করা হবে আশ্রয় শিবিরগুলোর স্থানীয় জনপদের উন্নয়নে। যাতে স্থানীয় পরিবেশও এই সঙ্কট কাটাতে সক্ষমতা অর্জন করতে পারে।

এই সঙ্কট মোকাবিলায় বিগত ২০১৭ সাল থেকে মোট ১৩৯ মিলিয়ন (১৫ ফেব্রুয়ারির ঘোষণাসহ) ইউরো মুদ্রা ইইউ আর্থিক সহায়তা হিসেবে দিয়েছে বলে বার্তায় উল্লেখ করা হয়।

বিগত ২০১৭ সালের আগস্টে মিয়ানমার সরকার এবং দেশটির সেনারা রাখাইনের জনগোষ্ঠীর ওপর অমানবিক অত্যাচার শুরু করলে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী প্রাণ বাঁচাতে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশের একাধিক আশ্রয় শিবিরে অংশ নেয়। বিগত ২০১৭ সাল থেকে চলতি বছর পর্যন্ত কমপক্ষে ৯ লাখ মিয়ানমারের নাগরিক ও বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী বাংলাদেশের একাধিক আশ্রয় শিবিরে আশ্রয় নিয়েছে।

এর আগে বিগত ১৯৮০ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত সময়ে মিয়ানমারের প্রায় ৩ লাখ নাগরিক ও বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী বাংলাদেশের একাধিক আশ্রয় শিবিরে নেয়। সব মিলিয়ে ১২ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশের একাধিক আশ্রয় শিবিরে রয়েছে।

সূত্র:deshebideshe.com-ডেস্ক।

Share

Leave a Reply

Advertisement

x

Check Also

ঈদগাঁওতে উৎসবমুখর ভোটগ্রহণ : নারী ভোটারদের উপস্থিতি : অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি

  এম আবু হেনা সাগর; ঈদগাঁও :কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার জালালাবাদ, ইসলামপুর ও ঈদগাঁও ইউনিয়নে ব্যাপক ...

https://coxview.com/coxview-com-footar-14-12-2023/