মঙ্গলবার থেকে শুরু হচ্ছে ক্রিকেটের সবচেয়ে ছোট ফরমেটের বিশ্বকাপ। ভারতের মাটিতে প্রথমবারের মতো আয়োজিত হয়েছে এই টুর্নামেন্ট। আট মার্চ কোয়ালিফাই পর্বের মাধ্যমে শুরু হয়ে চার এপ্রিল ফাইনালে শেষ হবে এই মহাযজ্ঞ। মোট ৩৫টি ম্যাচ হবে ভারতের আটটি স্টেডিয়ামে। এর মধ্যে ১৭টি ম্যাচ আয়োজনের সুবিধা দেওয়া হয়েছে ধর্মশালা ও নাগপুরে।
হিমাচল প্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের স্টেডিয়াম ধর্মশালায় অনুষ্ঠিত হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আটটি ম্যাচ। নাগপুরে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে নয়টি ম্যাচ।
এছাড়া বাকি ১৮টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে আটটি ভেন্যুতে, সেগুলো হল- নাগপুর, কলকাতা, বেঙ্গালুর, মুম্বাই,মোহালি, দিল্লী, ধর্মশালা ও চেন্নাই
২০০৮ সালে প্রথমবারের মতো এখানে ম্যাচ হয়। এর আসন সংখ্যা ৪০ হাজার। নাগপুরকে ভারতের শীতের রাজধানী বলা হয়। প্রায় ৩৩ একর জায়গায় এই স্টেডিয়ামটি অবস্থিত।
ভেন্যু : কলকাতা ইডেন গার্ডেন, কলকাতা
ভারতের কলকাতায় ১৮৬৪ সালে তৈরি হয় বিখ্যাত ইডেন গার্ডেন স্টেডিয়াম। ৬৫ হাজার দর্শক ক্ষমতার এই স্টেডিয়ামকে ভারতের সব চেয়ে বড় স্টেডিয়াম বলা হয়। ভিভিএস লক্ষনের সেই ২৮১ রানের ইনিংসটিও এই ইডেনেই করেছিলেন, যা মানুষ এখনো মনে করে। তিনটি প্রস্তুতি ম্যাচ ছাড়াও সুপার এইটের তিনটি ম্যাচ এই মাঠে অনুষ্ঠিত হবে। বাছাই পর্ব পার হলে পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ডের সাথে এখানেই বাংলাদেশের ম্যাচ হবে। এছাড়া এই আসরের ফাইনাল ম্যাচটিও এখানে অনুষ্ঠিত হবে।
৪০ হাজার আসন সংখ্যা নিয়ে ১৯৬৯ সালে এই স্টেডিয়ামটি তৈরি করা হয়। ২০১৫ সালে বিশ্বের প্রথম সোলার চালিত স্টেডিয়াম হিসেবে নাম লেখায় এই স্টেডিয়ামটি। ওয়েস্ট ইন্ডিজ কিংবদন্তি ভিভ রিচার্ডস, গর্ডন গ্রিনিজ ও ভারতের সুনীল গাভাস্কারের বিদায়ী ম্যাচ এখানেই খেলেছেন। বাংলাদেশ যদি প্রথম পর্ব পেরিয়ে আসে, এই মাঠে ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলতে হবে তাদের।
ভারতের প্রান কেন্দ্র মুম্বাইতে ১৯৭৪ সালে তৈরি হয় এই স্টেডিয়ামটি। প্তায় ৩৩ হাজার আসন সংখ্যা আছে এখানে। ২০১১ সালে মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বে এ মাঠেই ভারত বিশ্বকাপ জিতেছিল। এছাড়া ভারতের কিংবদন্তি শচিন টেন্ডুলকার, সাবেক ক্রিকেটার বিজয় মার্চেন্ট ও সুনীল গাভাস্কারের বেশ কিছু মনে রাখার মতো ইনিংস রয়েছে এই মাঠে।
পুরুষ ও নারী দলের দুটি সেমিফাইনাল ছাড়াও সুপার টেনের তিনটি ম্যাচ এই স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে।
প্রায় ২৭ হাজার দর্শকের ধারণ ক্ষমতা নিয়ে ১৯৯৩ সালে তৈরি হয়েছে এই স্টেডিয়ামটি। দারুণ সব আধুনিক সুবিধা রয়েছে এই মাঠে। ১৯৯৬ সালের বিশকাপের সেমিফাইনাল শেষে এই মাঠকে সেরা মাঠের স্বীকৃতি দিয়েছিলো অস্ট্রেলিয়া দল।
এবারের আসরে এই মাঠে পুরুষদের তিনটি ও নারীদের তিনটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।
১৮৮৩ সালে তৈরি এই মাঠকে ভারতের প্রাচীনতম স্টেডিয়ামগুলোর মধ্যে একটি ধরা হয়। আনুমানিক ৪৫ হাজার মানুষের ধারণ ক্ষমতা রয়েছে এখানে। ঠিক ১০০ বছর পরে ১৯৮৩ সালে সুনীল গাভাস্কার তার ১৯তম সেঞ্চুরি করেন এই মাঠে। এই মাঠেই ডন ব্রাডম্যান তার সর্বোচ্চ রানের টেস্ট রেকর্ড করেছিলেন। ১৯৯৯ সালে ভারতের অনিল কুম্বলে এই মাঠেই ১০ উইকেট নেওয়ার বিশ্ব রেকর্ড করেছিলেন।
এ আসরে, এই মাঠে নারীদের ৭টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। যার মধ্যে দুটি সেমিফাইনালও রয়েছে। অন্য দিকে পুরুষদের ২টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। তবে মজার ব্যাপার হচ্ছে, এর আগে ফিরোজ শাহ কোটলায় কোনও টি-টোয়েন্টি ম্যাচ হয়নি।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য ঘেরা এই স্টেডিয়ামটি ২০০৩ সাল উদ্বোধন করা হয়। স্টেডিয়ামে প্রায় ২৪ হাজার মানুষের বসার ব্যবস্থা রয়েছে। সমুদ্র পৃষ্ঠ থে ১৩১৭ মিটার উপরে তৈরি করা হয়েছে এটি।
কোয়ালিফাই পর্বের বাংলাদেশ দলের সবগুলো ম্যাচ এই স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে।
ভেন্যুঃ চিদম্বরম স্টেডিয়াম, চেন্নাই
প্রায় ৩৮ হাজার দর্শক ধারণ ক্ষমতা নিয়ে এই স্টেডিয়ামটি তৈরি করা হয়েছে। ১৯৩৩-৩৪ সালে এই মাঠে প্রথমবার টেস্ট ম্যাচ খেলা হয়। সেখান থেকেই এই মাঠের পরিচিতি।
এই মাঠে এবার বিশ্বকাপ আসরের নারীদলের পাঁচটিবাছাই পর্বের ম্যাচ হবে।
You must be logged in to post a comment.