মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা :
বান্দরবানের লামায় ফাইতং ইউনিয়নে চিউবতলী এন.আই চৌং সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে উপজাতি শিক্ষার্থী ভর্তি না করার অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা। স্থানীয় জন-প্রতিনিধি সহ একাধিকবার উপজাতি ছেলে-মেয়েদের স্কুলে ভর্তি করাতে গিয়ে ব্যর্থ হওয়ায় বিষয়টির প্রতিকার চেয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর কাছে লিখিত অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা।
এদিকে বিদ্যালয়ে ভর্তি হতে না পেরে আশপাশের ৪টি উপজাতি পাড়া ২৫/৩০ জন ৬ষ্ঠ শ্রেণীর শিক্ষার্থীর লেখাপড়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
জানা গেছে, বর্তমান সরকার প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়ন ও উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যেতে ৬ষ্ট থেকে ৮ম শ্রেণীকেও প্রাথমিক শিক্ষা হিসেবে ঘোষণা করে। তার ধারাবহিকতায় এই বছর লামা উপজেলায় প্রথম পর্যায়ে ২৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৬ষ্ট শ্রেণীর শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়। তেমনি একটি বিদ্যালয় চিউবতলী এন.আই চৌং সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। এই বছর উক্ত বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে ৩৮ জন শিক্ষার্থীকে ভর্তি করা হয়। তবে একজনও উপজাতি শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়নি।
বিদ্যালয়ের ক্যাচমেন্ট এলাকায় পোলাই মার্মা পাড়া, ভাজা মার্মা পাড়া, ধর্মচরণ ত্রিপুরা পাড়া ও নাজিরাম ত্রিপুরা পাড়া বাসিন্দা ক্যাচিং মার্মা, উহ্লামং মার্মা, থুইহ্লাচিং মার্মা, বাসাচন্দ্র ত্রিপুরা, উমেনু মার্মানী সহ অনেকে জানান, এই ৪টি উপজাতি পাড়ার ছেলে-মেয়েদের একমাত্র ভরসা স্কুলটি। কিন্তু স্কুলের প্রধান ও সহকারী শিক্ষকরা আমাদের ছেলে মেয়েদের ভর্তি না করে তাদের আগামীর ভবিষ্যৎ নষ্ট করে দিয়েছে। আমরা উপজাতি এই জন্য আমাদের শিশুদের ভর্তি করা হয়নি বিষয়টা শুনে আমরা মর্মাহত। সরকারের কাছে এর বিচার দাবি করছি।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খাঁন আবুয়াল হোসেন বলেন, ইতোমধ্যে আমি ৩৮জনকে ভর্তি করেছি। আর কোটা নেই। তবে এই ৩৮জনের মধ্যে একজনও উপজাতি শিশু নেই বলে তিনি এক প্রশ্নের উত্তরে নিশ্চিত করেছেন।
বিদ্যালয় এস.এম.সি কমিটির সভাপতি মোঃ শাহাদাৎ ও ওয়ার্ড মেম্বার আকবর হোসেন মেহেরাজ এর মোবাইল সংযোগ না পাওয়ায় তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এই বিষয়ে লামা উপজেলা শিক্ষা অফিসার যতীন্দ্র কুমার মন্ডল বলেন, অভিযোগটি আমি তদন্ত করে ব্যবস্থা নিব। লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার খিন ওয়ান নু বলেন, বিষয়টি দুঃখজনক ও আপত্তিকর। দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
You must be logged in to post a comment.