পার্বত্য উপজেলা লামায় অনৈতিক মেলামেশার পরও ছোট বোনকে বিয়ে না করতে বড় বোনের জোড়া লাগানো নগ্ন ছবি প্রকাশ করা অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বড় বোন বাদী হয়ে আদালতে নালিশী অভিযোগ করলে আদালত এই অভিযোগ আমলে নিয়ে থানার ওসিকে মামলা দায়ের পূর্বক ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছে। ঘটনাটি নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
১৮ সেপ্টেম্বর লামা সদরের মেওলারচর এলাকার অপ্রাপ্ত বয়স্ক ১৪ বছর বয়সি শিউলীর (ছদ্মনাম) সাথে জোরপূর্বক অনৈতিক মেলামেশা করে আব্দুল মোতালেবের ছেলে মো: আবদুল্লাহ (১৯)। এঘটনা জানাজানি হলে ১৮ অক্টোবর সমাজপতিদের নিয়ে বৈঠক হয়। এই বৈঠকে লিখিত সিদ্ধান্ত হয় ৫ বছর পর মেয়ে প্রাপ্ত বয়স্ক হলে ৫ লাখ টাকা দেনমোহর দিয়ে আব্দুল্লাহর সাথে আনুষ্ঠানিক বিয়ে হবে।
কিন্তু বিপত্তি ঘটে ছেলের বাবা আব্দুল মোতালেব বিগড়ে যাওয়ায়। তিনি বৈঠকে মীমাংসা মেনে নিলেও শিউলীর সাথে ছেলের বিয়ে না দিতে ষড়যন্ত্র আটে। এরই প্রেক্ষিতে মোতালেব তার খামারের কর্মচারী সৈয়দ আলমকে দিয়ে শিউলীর বড় বোন প্রবাসীর স্ত্রী গোলাপীর (ছদ্মনাম) ছবি সংগ্রহ করে। পরে ওই ছবি ফটোসপের মাধ্যমে নগ্ন ছবির সাথে জোড়া দেয়। জোড়াতালি দেয়া ওই ছবি ২৪ নভেম্বর মুঠোফোনে প্রদর্শনকালে দেখে পেলে স্থানীয় ইব্রাহীম নামের এক যুবক। তিনি ঘটনাটি মেয়ের অভিভাবকসহ স্থানীয় লোকদের অবহিত করেন।
অন্যদিকে নগ্ন ছবি ফাঁস করার পর প্রবাসী স্বামীর সাথে গোলাপীর সম্পর্কের অবনতি ঘটে। এতে গোলাপীর পরিবারে নেমে আসে অশান্তি। ফলে স্থানীয়দের পরামর্শে গোলাপী নিজেই বাদী হয়ে ৩ জানুয়ারী লামা আদালতে পর্ণোগ্রাফি আইনে একটি নালিশী অভিযোগ দায়ের করেন। এই অভিযোগটি আদালত আমলে নিয়ে লামা থানার ওসিকে মামলা দায়ের পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন। কিন্তু ৯ জানুয়ারী বিকাল পর্যন্ত ওই ফৌজদারী দরখাস্তটি পুলিশ মামলা হিসেবে এন্ট্রি করেনি। পক্ষান্তরে বিবাদীরা প্রভাবশালী হওয়ায় নানা ধরনের হুমকী দিচ্ছে বাদী পক্ষকে এবং পুলিশ বাদীকে আইনী সহায়তা না দিয়ে নানা অজুহাতে কালক্ষেপণ করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
You must be logged in to post a comment.