মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা :
আগামীকাল মঙ্গলবার সারাদেশে একযোগে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা। এবারে বান্দরবানের লামা উপজেলায় জেএসসি ও জেডিসি’র মোট ৮টি কেন্দ্রে ১৬৩০ জন শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে।
মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের নির্দেশনা মতে জেএসসি’র প্রতিটি শিক্ষার্থী থেকে কেন্দ্র ফি বাবদ ১৫০ টাকা নেয়ার কথা থাকলেও লামার ১৩৭২জন ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে ৩৮০ থেকে ৬৫০ টাকা করে নেয়া হচ্ছে। জেডিসি’র ২৫৮জন পরীক্ষার্থী থেকে কেন্দ্র ফি ৪৫০ থেকে ৫৫০ টাকা করে আদায় করা হয়েছে। জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষার্থী মিলে মোট ১৬৩০জন থেকে ৫ লক্ষ ১হাজার ৯শত টাকা অতিরিক্ত আদায় করা হয়েছে। অপরদিকে পরীক্ষার ফি ১০০ টাকা নেয়ার কথা থাকলেও নেয়া হয়েছে ৩গুণ। অতিরিক্ত পরীক্ষার ফি ও কেন্দ্র ফি আদায়ের কারণে পাহাড়ের দরিদ্র বাঙ্গালী ও উপজাতি ছাত্র-ছাত্রীদের আর্থিক কষ্ট হচ্ছে বলে জানায় অভিভাবকরা। নাম প্রকাশ না করা সত্বে অভিভাবকরা জানায়, স্কুল মাদ্রাসার শিক্ষকরা নিজেদের মন মত ভুতকীয় বাজেট তৈরি করে তার বোঝা চাপিয়ে দিচ্ছে দরিদ্র শিক্ষার্থীদের উপর।
লামা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, পরীক্ষা কেন্দ্রের ব্যয় মেটাতে অতিরিক্ত টাকা আদায় করা হয়েছে।
বান্দরবান জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণীক বলেন, বিষয়টি আমি তদন্ত করে দ্রæত ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।
প্রসঙ্গত, লামা উপজেলা পরীক্ষা পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার কর্তৃক ৩১ অক্টোবর সোমবার জেএসসি পরীক্ষার্থীদের ৩৮০ টাকা ও জেডিসি পরীক্ষার্থীদের ৪৫০ টাকা ফি নেয়ার অনুমোদন দেয়া হয়েছে। অথচ অনুমোদন না হতেই প্রায় সকল মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসায় ইতিমধ্যে তাদের মনগড়া ফি আদায় করা হয়েছে।
You must be logged in to post a comment.