মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম; লামা :
বান্দরবানের লামা উপজেলায় এক সপ্তম শ্রেণীর স্কুল ছাত্রী নিখোঁজের ঘটনা ঘটেছে। নিখোঁজ মমিনা আক্তার (১২) উপজেলার গজালিয়া ইউনিয়নের বটতলী এলাকার সিরাজুল ইসলাম ও মিনারা বেগমের মেয়ে। সে গজালিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী। নিখোঁজের ৫ দিন পেরিয়ে গেলেও মেয়ের কোন সন্ধান না পেয়ে বৃহস্পতিবার (২৪ মে) লামা থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করে তার মা মিনারা বেগম।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে লামা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ অপ্পেলা রাজু নাহা বলেন, মেয়ের সন্ধানে বৃহস্পতিবার দুপুরে তার মা মিনারা বেগম থানায় আসলে আমরা নিখোঁজের বিষয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি গ্রহণ করি। নিখোঁজ ডায়েরি নং- ৯৩৮, তারিখ- ২৪ মে ২০১৮ইং। তাদের দেয়া তথ্য মতে আমরা মেয়েটিকে উদ্ধারে কাজ করে যাচ্ছি।
নিখোঁজ মমিনা আক্তারের মা মিনারা বেগম প্রতিবেদককে বলেন, মো. মনিরুল ইসলাম (৪২) নামে এক লম্পট তার মেয়েকে প্রায় ডিস্টাব করত। মনিরুল ইসলাম খুলনা জেলার রুপসা থানার মেশাঘুনী এলাকার শীকলতলা গ্রামের শেখ মো. মুনছুর আলী ও মোমেনা বেগমের ছেলে। সে পূর্বে বিবাহিত। এই বিষয়ে মেয়ে আমাকে জানালে আমি মো. মনিরুল ইসলামকে বেশ কয়েকবার সতর্ক করি। সে তারপরও সংশোধন না হলে বিষয়টি গ্রাম সর্দ্দার মো. ফজল হক ও স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার মংচানু মার্মাকে অবহিত করি।
গত ২০ মে রোববার সকাল ৮টায় আমার মেয়ে স্কুলে কোচিং ক্লাস করতে যায়। কোচিং ক্লাস শেষে সাড়ে ১২টার দিকে বাড়ি ফিরে আসার সময় মো. মনিরুল ইসলাম আমার পার্শ্ববর্তী মো. আসাদ মিয়া পিতা- আব্দুল বারেক, আব্দুল কাদির পিতা- সুরুজ খাঁ, পারভিন বেগম পিতা- মো. সুভা মিয়া ও তোতা মিয়া পিতা- মৃত মো. আব্দু রহমান এর সহযোগিতায় মেয়েটিকে তুলে নিয়ে যায়। ঘটার দিন সকালে মনিরুল ইসলাম সহযোগি পারভিন বেগমের বাড়িতে বাকী সবাইকে নিয়ে গোপন বৈঠক করেছে বলে আমি জানতে পারি। আমি মেয়ে উদ্ধারে প্রশাসন সহ সকলের সহায়তা কামনা করছি।
গ্রাম সর্দ্দার মো. ফজল হক বলেন, মেয়েটি লেখাপড়ায় ভাল ছিল। মনিরুল অনেক বয়স্ক লোক। এই কাজটি করা ভাল হয়নি। মেয়েটি তার মেয়ের বয়সের।
You must be logged in to post a comment.