মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম; লামা :
লামায় মঞ্জুর আলম নামের এক ব্যক্তি প্রভাব খাটিয়ে সরকারি রাস্তার জায়গায় বহুতল ভবন নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, পার্বত্য জেলা বান্দরবানের লামা উপজেলার সরই ডলুছড়ি বাজার সরকারি রাস্তা জায়গা দখল করে বহুতল ভবন নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে মঞ্জুর আলম নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। মঞ্জুর আলম সরই ডলুছড়ি বাজার এলাকার মৃত মোজাহের মিয়ার ছেলে।
দখলকৃত রাস্তার জায়গাটি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) লামা সুয়ালক সড়কের ডলুছড়ি মৌজার ২নং সিটের ৪৯ দাগের অংশ বলে জানা যায়।
কাগজপত্র পর্যালোচনা করে জানা যায় ১৯৭০-৭১ সালের জরিপ ডলুছড়ি মৌজায় ২নং সিট ৪৯ নং দাগটি লামা সুয়ালক সড়কের নামে বন্ধোবস্তী হয়। এই দাগে মোট খসড়ায় ৮০ শতক জায়গা রয়েছে বলে উল্লেখ আছে।
এলজিইডি লামা উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ মাহফুজুর রহমান এর সাথে কথা বলে জানা যায়, ডলুছড়ি বাজারের চৌরাস্তা মোড়টি এলজিইডি’র রোড ম্যাপ মতে উপজেলার একমাত্র গ্রোথ সটার। উপজেলার সার্বিক যোগাযোগ উন্নয়ন, অর্থনৈতিক জোন, সড়ক ব্যবস্থা উন্নয়ন, উপজেলা হতে অন্য জেলা-উপজেলা ও জেলা সদরের সাথে সরাসরি যোগাযোগের কেন্দ্রবিন্দু হিসাবে গ্রোথ সটারের গুরুত্ব অপরিসীম। এছাড়া একটি উপজেলা কেন্দ্রীয় টার্মিনাল গ্রোথ সটার গড়ে উঠে। সেই বিবেচনায় ডলুছড়ি বাজারের চৌরাস্তা মোড়টি অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, সরকারি জায়গায় কোন প্রকার অবৈধ স্থাপনি গড়ে উঠতে দেয়া হবেনা।
স্থানীয়রা জানায়, লামা সুয়ালক সড়কটি নির্মাণকালে ডলুছড়ি বাজারের চৌরাস্তা মোড় বর্তমান রাস্তার চেয়ে ৩০ ফুট পশ্চিম দিকে হালকা বাঁকা ছিল আগের রাস্তাটি। যা এখনো ম্যাপে উল্লেখ রয়েছে। সড়কের সৌন্দর্য বৃদ্ধি ও বাঁক কমাতে সোজা করা হয় রাস্তাটি। এতে করে সড়কের আগের জায়গাটি খালি ছিল। পার্শ্ববর্তী জায়গার মালিক হিসাবে মঞ্জুর আলম উক্ত সড়কের জায়গাটি দখল করে সেখানে কয়েকটি আধা কাঁচা দোকান তৈরি করে এবং একসময় কিছু অংশ অন্যের কাছে বিক্রি করে দেয়। বর্তমানে বাকী অংশ মঞ্জুর আলম নিজে বহুতল ভবন নির্মাণ। এতে করে উপজেলার একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ গ্রোথ সটারের জায়গা চিরতরে বেদখল হওয়ায় সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
এই বিষয়ে মঞ্জুর আলম ও তার দুই ছেলে জিয়াবুল ও জমির বলেন, বর্তমানে রাস্তা পূর্ব দিকে যে দাগের উপর দিয়ে গেছে সেটাও আমাদের অংশ। তাই আমরা পূর্বের রাস্তার অংশটি দখল করেছি। সরকারের প্রয়োজন হলে ছেড়ে দিব।
এই বিষয়ে সরই ইউপি চেয়ারম্যান ফরিদ উল আলম বলেন, সড়কের পূর্বের জায়গাটি মঞ্জুর আলম ও তাদের স্বজনদের দখলে রয়েছে। বহুতল ভবন নির্মাণের বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে কোন অনুমতি নেয়নি।
You must be logged in to post a comment.