মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম; লামা :
এদিকে দুইবছর পার হলেও মডেল মসজিদ নির্মাণে মাটির নিচের অবকাঠামো এবং মাটির উপরে বিমের কাজ শেষে থমকে আছে নির্মাণকাজ। যার কারণে রডগুলো মরিচা পড়ে নষ্ট হচ্ছে। ফলে দিনে দিনে রডের কার্যক্ষমতা কমছে বহুগুণে। আর এমন দৃশ্য দেখে উপজেলার সাধারণ মানুষের মনে ক্ষোভ আর হতাশার সৃষ্টি হয়েছে।
সূত্রে জানা গেছে, ইসলামী ফাউন্ডেশনের তত্বাবধানে ও গণপূর্ত বিভাগের তদারকিতে দেশের প্রতিটি উপজেলায় একটি করে মডেল মসজিদ নির্মাণের উদ্যোগ নেয় সরকার।
জানা যায়, সারাদেশে ৫৬০টি মডেল মসজিদ নির্মাণেত উদ্যোগ নেয় সরকার। ২০১৯ সালের ৩০ অক্টোবর প্রায় ১২ কোটি ৬৫ লাখ টাকা ব্যয়ে লামা মডেল মসজিদ ও ইসলামি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ২০২০ সালের মধ্যে নির্মাণ কাজ শেষ করার সরকারি ঘোষণা থাকলেও ২০২১ সালেও মাটির নিচের অবকাঠামো এবং মাটির উপরে শর্ট বিমের মধ্যে ঠেকে আছে।
প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্সে নারী ও পুরুষদের পৃথক অজু ও নামাজ আদায়ের সুবিধা, লাইব্রেরি গবেষণা ও দ্বীনি দাওয়া কার্যক্রম, পবিত্র কুরআন হেফজ, শিশু শিক্ষা, অতিথিশালা, বিদেশি পর্যটকদের আবাসন, মৃতদেহ গোসলের ব্যবস্থা, হজযাত্রীদের নিবন্ধন, প্রশিক্ষণ, ইমামদের প্রশিক্ষণ ইত্যাদি ব্যবস্থা থাকবে।
সরজমিনে ঘুরে দেখা যায়, ২০১৯ সালে লামা কোর্ট মসজিদটি ভেঙ্গে ফেলায় পাশে উপজেলা গণ-পাঠাগারের ছোট একটি কক্ষকে অস্থায়ী মসজিদ হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। অস্থায়ী মসজিদটিতে সর্বোচ্চ ৫০/৬০ জন মুসল্লি গাদাগাদি করে নামাজ পড়তে পারে। কেন্দ্রীয় মসজিদ হওয়ায় পূর্বে এই মসজিদটিতে প্রতি ওয়াক্তে দুই থেকে তিন শত মুসল্লি নামাজ আদায় করত। এছাড়া জুমার নামাজ ও বিশেষ দিনে সহস্রাধিক মানুষ এই মসজিদের নামাজ আদায় করত। কিন্তু বর্তমার অস্থায়ী মসজিদ খুবই ছোট হওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে দ্বীনদার মানুষ গুলো।
এই বিষয়ে ঠিকাদার আনোয়ার হোসেন বলেন, দীর্ঘদিন ফান্ড না পাওয়ায় কাজ করতে পারছিনা। প্রকল্পের ফান্ড পাওয়া মাত্র কাজ শুরু করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রেজা রশীদ বলেন, শুনেছি নির্মাণ কাজে ফান্ডের ঘাটতি আছে। প্রকল্পের অর্থ ছাড় দিলে ঠিকাদার কাজ শুরু করবে।
You must be logged in to post a comment.