অনলাইন ডেস্ক :
আমাদের দৈনন্দিন জীবনে লেবুর চাহিদা অনেক। লেবুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে। সঠিক নিয়ম মেনে লেবু চাষে মিলবে শতভাগ সফলত। কোন মাটিতে, কী পদ্ধতিতে লেবু চাষ করলে ভালো ফলন হবে এটা জানা যেমন জরুরি। ঠিক তেমনি পরিমাণমত কেমন উপকরণও দিতে হবে তা জানাও জরুরী।
পুষ্টিগুণ: লেবুর প্রতি ১০০ গ্রাম খাদ্যপযোগী অংশে ৮৮.৪ গ্রাম জলীয়, ০.৬মিলি গ্রাম খনিজলবণ, ১.৭ গ্রাম আঁশ, ০.৩ গ্রাম আমিষ, ১০ গ্রাম শর্করা, ৪০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ২.৩ মিলিগ্রাম লৌহ, ০.০৩ মিলিগ্রাম, ভিটামিন বি-২ ৪৭ মিলিগ্রাম ভিটামিন-সি ও ৪৭ মিলিগ্রাম খাদ্যশক্তি রয়েছে।
মাটি: হালকা দো-আঁশ ও নিষ্কাশন সম্পন্ন মাটিতে লেবু ভালো হয়।
রোপন পদ্ধতি: মাটির প্রকার ভেদে ৪-৬টি চাষ ও মই দিতে হবে। প্রথম চাষ গভীর হওয়া দরকার। এতে সেচ ও নিষ্কাশন সুবিধাজনক, পরিচর্যা সহজ, এবং সেচের পানির অপচয় কম হয়। সার শেষ চাষের সময় প্রয়োগ করতে হবে। মধ্য বৈশাখ ও মধ্য আশ্বিন (মে-সেপ্টেম্বর) মাসে ২.৫*২.৫ মিটার দূরত্বে রোপন করা হয়।
সারের নাম সারের পরিমাণ: ইউরিয়া ৪৫০-৫৫০ গ্রাম, টিএসপি ৩৭৫-৪২৫ গ্রাম, এমপি ৩৭৫-৪২৫ গ্রাম, গোবর ১৫-২০ কেজি।
সার প্রয়োগ পদ্ধতি: প্রথম কিস্তি, মধ্য ভাদ্র থেকে মধ্য কার্তিক (সেপ্টেম্বর – অক্টোবর) মাসে। দ্বিতীয় কিস্তি, মধ্যমাঠ ফাগুন (ফেব্রুয়ারি) মাসে এবং তৃতীয় কিস্তি, মধ্য থেকে মধ্য আষাঢ় (জুন) মাসের প্রয়োগ করতে হবে।
ছাটাই পদ্ধতি: প্রতিবছর মধ্যভাগ থেকে মধ্য কার্তিক (সেপ্টেম্বর – অক্টোবর) মাসে গাছের অবাঞ্ছিত ছাড়া শাখা ছাঁটাই করতে হবে।
পানি সেচ ও নিষ্কাশন: খরা মৌসুমে ২-৩ সেচ প্রয়োগ করা দরকার। জলাবদ্ধতা সহ্য করতে পারে না বিধায় বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টিপাতের সময় গাছের গোড়ায় যাতে পানি না জমে সেজন্য নানা করে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে হবে।
অন্যান্য পরিচর্যা: লেবুর প্রজাপতি পোকা দমন: পোকার কীড়া পাতা খেয়ে ফেলে। এজন্য ফলন ও গাছের বৃদ্ধি ব্যাহত হয়। গাছে ডাল ছিদ্রকারী পোকার আক্রমণ হলে আক্রান্ত ডালগুলো কেটে ধ্বংস করতে হবে।
প্রতিকার:
১. ডিম ও কি রাজত্ব পাতা সংগ্রহ করে মাটির নিচে পুঁতে পা পুড়ে ফেলতে হবে।
২. ডাইমেক্রন ১০০ ইসি ১ মিলি অথবা সেভিন ৮৫ এসপি ১ গ্রাম প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে ১০-১৫ দিন পরপর প্রয়োগ করতে হবে।
You must be logged in to post a comment.