সাম্প্রতিক....
Home / প্রচ্ছদ / জীব ও প্রকৃতি / শকুনের দোয়ায় গরু মরে যেখানে

শকুনের দোয়ায় গরু মরে যেখানে

বাংলা শকুন। ছবি- সংগৃহীত

নিশ্চয়ই খুব অবাক হচ্ছেন? শকুনের দোয়ায় বাস্তবেই কি গরু মরা সম্ভব? দোয়া বা কামনায় সম্ভব না হলেও বিলুপ্ত প্রায় শকুনের বংশ রক্ষা এবং টিকিয়ে রাখার স্বার্থে কিছু অঞ্চলকে শকুনের অভয়ারণ্য ঘোষণা করেছে ভারত সরকার। এখানে শকুনের অবাধ বিচরণই শুধু নয়, ডাইক্লোফেনাকমুক্ত গরু উৎপাদন করে এসব এলাকায় শকুনের খাবারও নিশ্চিত করা হয়েছে!

সাটেলাইট টেলিমেট্রি ব্যবহার করে বৈজ্ঞানিকভাবে শকুনের বিচরণক্ষেত্র নির্দিষ্ট করা হয়েছে। শকুনের নিরাপদ এলাকা হচ্ছে ১০০ কি.মি. ব্যাসার্ধের একটি বৃত্তীয় এলাকা, যেখানে প্রায় ৩০ হাজার বর্গ কি.মি. এলাকা অন্তর্ভুক্ত। এ এলাকায় পশু চিকিৎসায় ডাইক্লোফেনাক ও কিটোপ্রোফেনের ব্যবহার থাকতে হবে শূন্যের কোটায়। তাহলে এই পশুরা হবে শকুনের খাওয়ার উপযোগী।

ভারতজুড়ে ৭ টি এবং নেপালে ২ টি এলাকাকে শকুনের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এসব এলাকাকে নিরাপদ ঘোষণা করেছে সে দেশের সরকার।বাংলাদেশেও বন বিভাগ ও আইইউসিএনের যৌথ উদ্যোগে ২টি শকুনের নিরাপদ এলাকা চিহ্নিত করা হয়েছে। এর একটি হলো বৃহত্তর সিলেট বিভাগ এবং অন্যটি সুন্দরবন এলাকা। শুধু একটি প্রজাতিকে রক্ষায় এমন উদ্যোগ বিরল।

১২ জনের দল মরা গরু সংগ্রহ করে শকুনের জন্য। ছবি- সংগৃহীত

‘বাংলাদেশ জাতীয় শকুন সংরক্ষণ কমিটি’ গঠন করেছে বাংলাদেশ সরকারের পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়। এই কমিটির আওতায় শকুনের নিরাপদ আবাসন, খাদ্যপ্রাপ্তি এবং প্রজনন নিশ্চিত করা হয়ে থাকে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময় হল শকুনের প্রজনন সময়। এসময় খাদ্যপ্রাপ্তিতে যাতে কোন সমস্যা না হয় সেজন্য নেওয়া হয়েছে নানান উদ্যোগ। রেমাকালেঙ্গা অভয়ারণ্যে শকুনের খাদ্য স্টেশন নির্ধারত করা হয়েছে। ১২ জনের একটি দল নিযুক্ত আছে যারা বনে কোথাও গরু মারা গেলে তা নির্দিষ্ট খাদ্যস্টেশনে নিয়ে রাখে। খাবার সংগ্রহ করে দেওয়ার এ প্রক্রিয়া সবসময়ের জন্য ঠিক করা হলেও পরে এটাকে শুধু প্রজনন সময়ের জন্য নির্দিষ্ট করা হয়, কারণ নাহলে শকুনেরা তাদের শিকার করার পদ্ধতি ভুলে যেতে পারে।

নেপাল ও কম্বোডিয়ায়ও এ ধরনের ব্যবস্থা আছে। তারা মূলত গরু কিনে স্থানীয় মানুষের কাছে লালন-পালনের জন্য দিয়ে দেয়। গরুটি পরিণত বয়স হলে আবার তার কাছ থেকে কিনে নেওয়া হয় এবং ওই গরুটিকে শকুনের জন্য সরবরাহ করা হয়। এ পদ্ধতিকে ওরা ভারচার রেস্টুরেন্ট নাম দিয়েছে।

শকুনের প্রজাতিগত বিনাশ ঠেকানো পরিবেশের জন্য খুবই জরুরি। বাংলা শকুন প্রজাতিটি বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে। এই উদ্যোগ এদের বংশকে টিকিয়ে রাখতে খুবই সহায়ক হবে।

সূত্র:আফসানা সুমী/priyo.com,ডেস্ক।

Share

Leave a Reply

Advertisement

x

Check Also

তীব্র গরমে লামা পৌর মেয়রের পক্ষ থেকে জনসাধারণের মাঝে পানি বিতরণ; কক্সভিউ ডট কম; https://coxview.com/water-distribution-lama-mayor-rafiq-30-4-24-1/

তীব্র গরমে লামা পৌর মেয়রের পক্ষ থেকে জনসাধারণের মাঝে পানি বিতরণ

লামা পৌরসভার মেয়র মোঃ জহিরুল ইসলাম এর পক্ষ থেকে লামা বাজারে জনসাধারণের মাঝে নিরাপদ পানি ...

https://coxview.com/coxview-com-footar-14-12-2023/