সাম্প্রতিক....
Home / প্রচ্ছদ / অপরাধ ও আইন / সেনাবাহিনী ও পুলিশের বিচক্ষণতা লামায় প্রবাসীর স্ত্রীকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসাতে গিয়ে আটক দুই যুবক

সেনাবাহিনী ও পুলিশের বিচক্ষণতা লামায় প্রবাসীর স্ত্রীকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসাতে গিয়ে আটক দুই যুবক

ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টার ঘটনার মূল হোতা মো. শাহ আলম ও তোফাজ্জল হোসেন।

মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম; লামা :
লামায় এক প্রবাসীর স্ত্রীকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসাতে গিয়ে ফেসে গেল দুই যুবক। সেনাবাহিনী ও পুলিশের বিচক্ষণতায় নিবিড় তদন্তে বেরিয়ে আসে মূল ঘটনাটি। ভূমি বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে এই নাটকীয়কতার আশ্রয় নিয়েছে সেই যুবক, এমনটি জানালেন লামা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। অবশেষে মূল ইয়াবা কারবারী ও সহযোগী ২ জনকে আসামী করে সোমবার (২৩ মার্চ) দুপুরে লামা থানায় মাদক আইনে মামলা করা হয়। মামলা নং- ১০, তারিখ- ২৩ মার্চ ২০২০ইং।

স্থানীয়রা জানায়, বাড়িতে ইয়াবা আছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রোববার দিবাগত রাতে সেনাবাহিনীর লামা সাব জোনের একটি টিম উপজেলার রুপসীপাড়া ইউনিয়নের অংহ্লা পাড়া এলাকায় প্রবাসী আব্দুল মন্নান এর বাড়িতে অভিযান চালায়। বাড়িতে প্রবাসী আব্দুল মন্নানেরর স্ত্রী মিনু আক্তার (৪৫) ও তার মেয়ে ছিল। অভিযান চালিয়ে বাড়ির বারান্দার পূর্ব কোণের ছাদের উপর থেকে ১০৬ পিস ইয়াবা উদ্ধার করে। ইয়াবা সহ মিনু আক্তারকে লামা থানায় নিয়ে আসে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

ইতিমধ্যে সেনাবাহিনী ও পুলিশের কাছে এই ঘটনাটি নাটকীয় ও সাজানো বলে তথ্য আসে। তারা পুণরায় ঘটনাটি যাচাই বাছাইয়ে জন্য মাঠে নামে। একে একে নানা তথ্য ও সোর্সের দেয়া তথ্য গুলো বিবেচনা করা হয়। তারপর তাদের বিচক্ষণতায় বেরিয়ে প্রকৃত তথ্য। প্রবাসী পরিবারের সাথে ভূমি নিয়ে পার্শ্ববর্তী মৃত নজির আহাম্মদের ছেলে মো. শাহ আলমের সাথে অংসখ্য মামলা ও বিরোধ রয়েছে। সম্প্রতি মিনু আক্তারের একটি মামলায় জেল খাটে মো. শাহ আলম। সেই ক্ষোভ থেকে পরিকল্পিতভাবে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর নাটক করা হয়।

পরে এই ঘটনার সাথে জড়িত ও সহযোগিতার করার অভিযোগে তোফাজ্জল হোসেন (৩৮) নামে আরেক যুবককে আটক করা হয়। সে লামা পৌরসভার চেয়ারম্যান পাড়ার মৃত আনোয়ার হোসেন এর ছেলে।

মিনু আক্তারের দেবর হাজী আব্দুর রহমান বলেন, আমার ভাবী গতবছর হজ্ব করে এসেছেন। তিনি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন এবং ঊনার অনেক বয়স হয়েছে। আমাদের পরিবারের সম্মানহানী করতে এই ঘটনার জন্ম দিয়েছে শাহ আলম। সেনাবাহিনী ও পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি দোষীদের কঠোর বিচার কামনা করেন।

রুপসীপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান ছাচিং প্রু মার্মা বলেন, মিনু আক্তারের পরিবারটি সম্ভ্রান্ত একটি পরিবার। তার স্বামী ৩০ বছর যাবৎ সৌদি আরব থাকে। তাদের যথেষ্ট আর্থিক স্বচ্ছলতা রয়েছে। এমন নেক্কারজনক ঘটনা তাদের দ্বারা সংগঠিত হতে পারে না। যারা নাটকীয় ঘটনার জন্ম দিয়েছে তাদের সঠিক বিচার দাবী করছি।

Share

Leave a Reply

Advertisement

x

Check Also

https://coxview.com/wp-content/uploads/2024/03/Hamidul-11-3-24.jpg

ঈদগড়ে মোবাইলে জুয়া খেলায় আসক্ত হচ্ছে শিশু কিশোর, বাড়ছে অপরাধ প্রবণতা

  হামিদুল হক; ঈদগড় :কক্সবাজার জেলার পাহাড়ী জনপদ ঈদগড়ে স্মার্ট ফোনের মাধ্যমে লুডু খেলা এখন ...

https://coxview.com/coxview-com-footar-14-12-2023/