স্মরণযোগ্য সম্মেলন করার জন্য সার্বিক প্রস্তুতি শেষ করে এনেছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। আগামী ২২ ও ২৩ অক্টোবর দলের ২০তম সম্মেলন হবে।
এ সম্মেলনকে স্মরণীয় করে রাখতে এবং দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে মাইলফলক সৃষ্টি করতে সার্বিকভাবে প্রস্তুত আওয়ামী লীগ। সম্মেলনকে কেন্দ্র করে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। সারা দেশে সম্মেলনের ব্যাপক প্রস্তুতির চিত্র পরিলক্ষিত হয়েছে।
রোববার দুপুরে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্বেচ্ছাসেবক ও শৃঙ্খলা, মঞ্চ ও সাজ-সজ্জা, অভ্যর্থনা এবং খাদ্য উপ-কমিটির সমন্বয় সভায় স্মরণযোগ্য সম্মেলন করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন আওয়ামী লীগ নেতারা। অভ্যর্থনা উপ-কমিটির আহ্বায়ক মোহাম্মদ নাসিমের সভাপতিত্বে সভা হয়। এতে আরো বক্তব্য রাখেন মঞ্চ উপ-কমিটির আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর কবির নানক, অভ্যর্থনা উপ-কমিটির সদস্য সচিব দীপু মনি, স্বেচ্ছাসেবক ও শৃঙ্খলা উপ-কমিটির সদস্য সচিব আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম, খাদ্য উপ-কমিটির আহ্বায়ক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া প্রমুখ।
দলীয় নেতারা জানান, আগামী জাতীয় নির্বাচনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলাসহ কয়েকটি কারণে এবারের সম্মেলন গুরুত্বপূর্ণ। এবারের সম্মেলনে কাউন্সিল হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে শেখ রেহানা, তার ছেলে এবং শেখ হাসিনার দুই সন্তান। এ কারণে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা বিরাজ করছে।
সম্মেলন উপলক্ষে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে শহরের লক্ষ্মীপুর মোড়ে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সম্মেলন প্রচার চত্বর তৈরি করা হয়েছে। সম্মেলন সফল করার লক্ষে রাজশাহী মহানগর যুবলীগের প্রচার মিছিল হয়। চট্টগ্রাম, বেনাপোল স্থলবন্দরসহ সারা দেশের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে রঙিন আলোয় উৎসরের আমেজ সৃষ্টি করা হয়েছে।
শনিবার সন্ধ্যায় গণভবনে আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সভার সূচনা বক্তব্যে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা সম্মেলনে নতুন নেতা নির্বাচন করতে নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান। এ সময় দলীয় নেতারা আবারও তাকেই দায়িত্ব নেওয়ার অনুরোধ করেন।
আসন্ন সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় এবং মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ হোসেন পুতুলকে কাউন্সিলর করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর আরেক কন্যা শেখ রেহানা, তার ছেলে রেদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি কাউন্সিলর হয়েছেন। জয়কে তার বাবার এলাকা রংপুর থেকে কাউন্সিলর করা হয়েছে। আর ববিকে কাউন্সিলর করা হয়েছে ঢাকা মহানগর উত্তর থেকে। শেখ রেহানা ও তার ভাগ্নি পুতুলকে কাউন্সিলর করেছে ঢাকা মহানর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ।
আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নান্দনিক সৌন্দর্যমণ্ডিত মঞ্চে সম্মেলন হবে। এই উদ্যান ঐতিহাসিক। অনেক ইতিহাসের সাক্ষী। সেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এবার উপমহাদেশের সবচেয়ে প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী সংগঠন আওয়ামী লীগের ২০তম সম্মেলন হতে যাচ্ছে।
আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, গত একমাস ধরে আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনেকে ঘিরে যে সাজসজ্জা ও প্রস্তুতি নিয়ে কাজ চলছে, তা ইতোমধ্যে আনন্দমেলায় পরিণত হয়েছে। সারা দেশে আনন্দের বন্যা বইতে শুরু করে করেছে। সবকিছুর পরও সর্বাত্মকভাবে সম্মেলনের সফলতা নির্ভর করছে সার্বিক নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলার ওপর।
তিনি বলেন, এই সম্মেলনের মধ্য দিয়ে নতুন মাইলফলকের সৃষ্টি হবে। বাংলাদেশের অর্জনের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সংগ্রাম, ঐতিহ্য ও সাফল্য জড়িত। সেই সংগ্রাম ও সাফল্যগাথা নিয়ে আওয়ামী লীগ এগিয়ে যাচ্ছে। তাই সম্মেলনের মধ্য দিয়ে ২০১৯ সালের নির্বাচনে যাতে উগ্রবাদ-অপশক্তিকে মোকাবিলা করে সমৃদ্ধি ও অগ্রগতির পথে বাংলাদেশকে এগিয়ে নেওয়া যায়, সেই অঙ্গীকার করা হবে।
সূত্র:নৃপেন রায়/risingbd.com,ডেস্ক।
You must be logged in to post a comment.