সাম্প্রতিক....
Home / প্রচ্ছদ / স্যানিটেশনের অভাবে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে সোনাদিয়ার মানুষ

স্যানিটেশনের অভাবে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে সোনাদিয়ার মানুষ

স্যানিটেশনের অভাবে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে সোনাদিয়ার মানুষ

স্যানিটেশনের অভাবে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে সোনাদিয়ার মানুষ

অজিত কুমার দাশ হিমু, কক্সভিউ:

কক্সবাজার জেলা শহরের অদুরে একটি বিচ্ছিন্ন দ্বীপের নাম সোনদিয়া। এই সোনাদিয়া দ্বীপকে ঘিরে গড়ে উঠবে গভীর সমুদ্র বন্দর। মহেশখালী উপজেলার কুতুবজোম ইউনিয়নের একটি বৃহৎ অংশ নিয়ে এই দ্বীপ। এখানে শুষ্ক মৌসুমে চলে শুটকি প্রক্রিয়াজাত করণের কাজ। গড়ে উঠেছে সামুদ্রিক কাছিম প্রজনন কেন্দ্র (হ্যাচারী)। প্রায় আড়াই হাজার লোকের বসবাস। কিন্তু চির অবহেলিত এই দ্বীপাটির মানুষগুলো। শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত শিশুরা। নেই কোন চিকিৎসা, শিক্ষা, স্যানিটেশন সহ মৌলিক অধিকার।

এখানকার অধিবাসিদের প্রধান পেশা সাগরে মৎস্য আহরণ। শুষ্ক মৌসুমে শুটকি প্রক্রিয়াজাতকরণ। আবার কেউ কেউ বিপদগামী হয়ে জড়িয়ে পড়ছে জলদস্যুতাসহ বিভিন্ন অপরাধে। সোনার দ্বীপ খ্যাত সোনাদিয়ার মানুষের ধারণা নেই স্যানিটেশন সম্পর্কে। দ্বীপে সুপেয় পানির সমস্যাও রয়েছে প্রকট ভাবে।

৪ শতাধিক পরিবারের মধ্যে ১০ থেকে ১৫টি পরিবারে রয়েছে স্বাস্থ্য সম্মত ল্যাট্রিন। আবার এসব পরিবারের সদস্যরা তাও ব্যবহারে অভ্যস্ত নয়। ৬/৭টি পরিবার মিলে একটি করে নলকূপ থাকলেও নেই স্বাস্থ্যসম্মত ল্যাট্রিন ব্যবস্থা। এ দ্বীপ পুরাতন হিসেবে পশ্চিম ও পূর্বপাড়া নামের দুটি পাড়া থাকলেও মাঝেরপাড়া ও বদরখালী পাড়া সহ আরো কয়েকটিপাড়ার নামকরণ ইতোমধ্যে হয়েছে।

সরেজমিন দেখা গেছে, পশ্চিমপাড়ার কয়েকটি বাড়ীতে ল্যাট্রিন রয়েছে। তাও আবার স্বাস্থ্য সম্মত নয়। সরকারী বনবিভাগের সদ্য নির্মিত ভবনে স্যানেটারী ল্যাট্রিন নির্মিত হলেও নতুন ভবনের পূর্ব পার্শ্বে খোলা জায়গায় এখানকার কর্মচারীরাও সোনাদিয়া দ্বীপের অধিবাসিদের সাথে তাল মিলিয়ে সমুদ্রের বালিয়াড়িতে এবং ঝোপ ঝাড়ে প্রকৃতির ডাক সারান বলে জানা গেছে।

স্থানীয়রা জানান, সন্ধ্যার পর পরই নারী, পুরুষ ও শিশুরা বদনা নিয়ে লাইন ধরেন সমুদ্র সৈকতের বালিয়াড়ি কিংবা ঝোপ ঝাড়ে। এদৃশ্য চোখে পড়ে গভীর রাত পর্যন্ত। জোৎস্না স্নাত রাতে আরো সুন্দর দেখায় এখানকার খোলা আকাশের নিচে প্রকৃতির কাজ সারানোর দৃশ্য।

দ্বীপ শুরু থেকে তারা টয়লেট ব্যবহারে অভ্যস্ত নয়। বালিয়াড়ি কিংবা ঝোপে ঝাড়ে প্রকৃতির ডাক সারাতে তারা আরাম দায়ক মনে করেন। ওই সব পরিবারে কোন মেহমান গেলেও তারাও এক অবস্থায় পড়ে যান। এদৃশ্য পুরো সোনাদিয়া দ্বীপের।

ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য আবদুল গফুর বলেন, ২০/৩০ পরিবারে নতুন ল্যাট্রিন তৈরি হয়েছে। সচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে পর্যাক্রমে স্যানিটারী ল্যাট্রিন স্থাপনের সংখ্যা বাড়ানো হবে।

Share

Leave a Reply

Advertisement

x

Check Also

https://coxview.com/wp-content/uploads/2023/01/BGB-Rafiq-24-1-23.jpeg

বিপুল পরিমাণ পপিক্ষেত ধ্বংস করল বিজিবি

মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম; লামা-আলীকদম : পার্বত্য জেলা বান্দরবানে থানচি উপজেলা গহীণ অরণ্যে মাদক দ্রব্য প্রস্তুতকারক ...

https://coxview.com/coxview-com-footar-14-12-2023/