মুকুল কান্তি দাশ; চকরিয়া :
মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় অকালে প্রাণ হারানো চকরিয়া সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী আহাদুল করিম নিকটাত্মীয়সহ পরিচিতজনদের বার বার কাঁদাচ্ছে। পরলোক গমনের মাত্র ৮দিন পর এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ পায়। এতে গত ৩ মে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত আহাদুল করিম জিপিএ ৩.৪৫ পেয়ে পাস করে। কিন্তু পাস করা অপর বন্ধুদের সাথে কলেজে যাওয়া হবেনা তার। ফলাফল নিয়ে মা-বাবাসহ মুরব্বীদের সালাম করাও হয়নি। ফলাফল প্রকাশের ৮দিন আগেই নিয়তী কেড়ে নিয়েছে তার প্রাণ। সেই সুখ স্মৃতি কাঁচা থাকতেই ফের কান্নার রুল পড়েছে আহাদেও আত্মীয় ছাড়াও নিজ বিদ্যালয়ে।
চকরিয়া সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক জিএম এনামুল হক বলেন, ৩ মে দুটি যাত্রীবাহি গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষে মারা যায় ৫জন। তন্মধ্যে আমাদের বিদ্যালয় থেকে এসএসসি’র ফল প্রত্যাশী সাহারবিলের ছব্বির আহমদের ছেলে আহাদুল করিমও প্রাণ হারায়। ১১ মে এসএসসি’র ফল প্রকাশ পায়। এতে এই স্কুল থেকে ৮৭ জনের মধ্যে পাস করে ৭৯ জন। পাস করা শিক্ষার্থীর মধ্যে নিহত আহাদুল করিম জিপিএ ৩.৪৫ পায়। স্কুলে ফলাফল ঘোষণার পর শিক্ষক-শিক্ষার্থীর কেউই আনন্দ প্রকাশ করতে পারেনি। আহাদের জন্য শোকাহত ছিল সবাই।
তার বাড়ি সাহারবিলের মাইজঘোনাইও পড়শিরা আহাদের স্বজনদের শান্তনা দেয়ার চেষ্টা কওে ফলাফল ঘোষনার পর। কিন্তু এই শান্তনা বাঁধ ভাঙ্গা জোয়ারের মতো ভেসে যায়। কান্না ও আহাজারিতে বাতাস ভারি হয়ে উঠে তার বাড়িসহ আশপাশ এলাকা। এইদিনও শিক্ষার্থীসহ এলাকার লোকজন দাবী তুলে আহাদের মৃত্যুতে দায়ী চালকের শাস্তি নিশ্চিত করণে।
You must be logged in to post a comment.