এম আবু হেনা সাগর, ঈদগাঁও :
কক্সবাজার সদর উপজেলার ইসলামাবাদ ইউনিয়নের গজালিয়া ও রামুর পাহাড়ি এলাকা ঈদগড়ের প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের জনগণ অতিষ্ট হাতি তাড়ানোর লক্ষ্যে টংঘরে রাত কাটাচ্ছে।
জানা যায়, দু’এলাকায় শীতকালীন মৌসুমে নানা তরিতরকারি চাষাবাদে বন্য হাতির আক্রমণের থাবা থেকে রক্ষা পাওয়ার লক্ষ্যে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের অসহায় পরিবারের কৃষকরা রাত্রীকালীন সময়ে চাষাবাদের পার্শ্ববর্তী বন্যগাছে ‘টং’ বেঁধে রাত্রী যাপন করছে। অনেকে রাত্রী বেলায় পাহারাদার অবস্থায় হাতির তাড়া খেয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। আবার অনেকে বহু পূর্বে টংঘর থেকে ঘুমন্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে মৃত্যুবরণ করছে বলেও জানা যায়।
ইসলামাবাদ ইউনিয়নের বৃহত্তর গজালিয়ার প্রান্তিক চাষীরা নিরলস ভাবে অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে নদীর চরে শীম, বেগুন, শসা, কমলা, মুলা ও টমেটো চাষাবাদ করে পরিবারের জীবিকা নির্বাহ করে। কিন্তু এসব কষ্টের ফলানো শীতকালীন তরিতরকারী চাষাবাদের উপর রাতের অন্ধকার বা দিন-দুপুরে উজানে নেমে আসা ক্ষুধার্থ বন্য হাতির পাল দল খাবারের আসায় এসব অসহায় কৃষকের চাষাবাদের উপর নির্বিচারে অত্যাচার চালায়। এ অত্যাচার-অনাচার থেকে হাতি তাড়ানোর লক্ষ্যে টং ঘরে বাসা বেঁধে গ্রামাঞ্চলের কৃষক সহ লোকজন সুকৌশল খোঁজে বের করে।
দেখা যায়, গজালিয়া, ঢালার দোয়ার, ভোমরিয়াঘোনা সহ ঈদগড় এলাকার প্রত্যন্ত স্থানে ছোট-বড় গাছের উপর সুন্দর টং ঘর। আবার ঈদগড় ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায়ও টংঘর রয়েছে।
এ বিষয়ে ঈদগড়ের সচেতন যুবক জাফর ইকবাল জানান, তাদের এলাকার নানা স্থানে টংঘর দেখা যায়। অপরদিকে গজালিয়া-ভোমরিয়াঘোনার কয়েক ব্যক্তির মতে, “ও ভাই, অতি কষ্টের বিনিময়ে ফলানো শীতকালীন শাক সব্জি হাতির থাবা থেকে রক্ষা করতে টং বাসা তৈরী করে পাহারা দিচ্ছি। আর কোন উপায় খুঁজে পাচ্ছি না।”
You must be logged in to post a comment.