সাম্প্রতিক....
Home / প্রচ্ছদ / পুষ্টি ও স্বাস্থ্য / হিটস্ট্রোক থেকে বাঁচতে করণীয়

হিটস্ট্রোক থেকে বাঁচতে করণীয়

অনলাইন ডেস্ক :

সারাদেশে চলছে তীব্র তাপদাহ। সঙ্গে বাড়ছে হিট স্ট্রোক বা সান স্ট্রোকের ঝুঁকি। তাই আমাদের সকলের হিট স্ট্রোক থেকে বাঁচতে করণীয় হবে বেলা ১২টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের না হওয়া।

গরমে যারা সরাসরি সূর্যের আলোর নিচে বেশিক্ষণ থাকেন, তাদের ত্বক পুড়ে যেতে পারে। এতে ত্বক লাল হয়ে যায়, জ্বালাপোড়া করে, চুলকায় এবং ফোসকা পড়ে। মূলত সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মিই এর জন্য দায়ী। সবচেয়ে মারাত্মক সমস্যা হল হিটস্ট্রোক। হিটস্ট্রোকের আগে হিট ক্র্যাম্প দেখা দেয়। এতে শরীর ব্যথা করে, দুর্বল লাগে এবং প্রচণ্ড পিপাসা লাগে, শ্বাস-প্রশ্বাস দ্রুত হয়, মাথাব্যথা করে এবং রোগী অসংলগ্ন আচরণ করতে থাকে।

এ অবস্থায় দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া না হলে শরীরের তাপনিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায় এবং শরীরের তাপমাত্রা ১০৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট ছাড়িয়ে যায়। একে হিটস্ট্রোক বলে।

হিটস্ট্রোকের লক্ষণসমূহ

* হঠাৎ করে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া। ১০৫ ডিগ্রি ফারেনহাইটও হয়ে যেতে পারে।

* কথা জড়িয়ে যাওয়া, কথাবার্তায় অসংলগ্নতা।

* মাথা ঘোরা ও বমি বমি ভাব হওয়া।

* নিঃশ্বাস দ্রুত হয়, নাড়ির স্পন্দন ক্ষীণ ও দ্রুত হওয়া।

* খিঁচুনি, মাথা ঝিমঝিম করা, অস্বাভাবিক ব্যবহার, হ্যালুসিনেশন, অসংলগ্নতা ইত্যাদি।

* রক্তচাপ কমে যায়, অজ্ঞান হয়ে যাওয়া।

চলমান তাপদাহে হিটস্ট্রোক থেকে নিরাপদ থাকতে কিছু নিয়ম-কানুন মেনে চলতে হবে:

এই পদ্ধতি রাতারাতি রক্তনালী পরিষ্কার করে! স্ট্রোকের ভয় নেই
কোন রাসায়নিক ছাড়াই কিভাবে রক্তনালী পরিষ্কার করবেন! সহজ উপায়…

গরমের সরাসরি প্রভাব ছাড়াও আনুষঙ্গিক সমস্যা হতে পারে। অনেকেই গরমে তৃষ্ণা মেটাতে বাইরে পানি বা শরবত খান, যা অনেক সময় বিশুদ্ধ থাকে না। ফলে ডায়রিয়া ও বমিতে আক্রান্ত হতে পারেন। একই কারণে পানিবাহিত অন্যান্য রোগ যেমন- টাইফয়েড, হেপাটাইটিস ইত্যাদি বেশি হয়।

হাইড্রেটেড থাকুন: প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন। রোজাদাররা ইফতার ও সেহরির মাঝখানের সময়টাতে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন। চা, কফি এড়িয়ে চলুন। চা, কফির ক্যাফেইন আপনাকে ডিহাইড্রেটেড (পানিশূন্য) করে ফেলতে পারে।

ঠাণ্ডা থাকুন: ঢিলেঢালা ও হালকা রঙের পোশাক পরুন। বেলা ১২টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হবেন না। একান্তই বের হওয়া লাগলে ভারি কাজ এড়িয়ে চলুন, ঘন ঘন বিরতি নিন এবং বিশ্রামের জন্য ছায়া বা শীতল জায়গা খুঁজুন, ছাতা ব্যবহার করুন।

বিপদ চিহ্নগুলি সম্পর্কে সচেতন থাকুন: তাপ ক্লান্তির (হিট এক্সহোশন) লক্ষণ হলো প্রচুর ঘাম হওয়া, দুর্বলতা, মাথাব্যথা, বমি বমি ভাব, মাথা ঘোরা এবং অজ্ঞান হয়ে যাওয়া। আপনি যদি এই উপসর্গগুলির মধ্যে কোনটি অনুভব করেন তবে একটি ঠাণ্ডা জায়গায় যান, পানি পান করুন এবং বিশ্রাম নিন।

হিট স্ট্রোকের উপসর্গ হলো শরীরের তাপমাত্রা অনেক বেড়ে যাওয়া, অসংলগ্ন কথা বলা বা অসংলগ্ন আচরণ করা এবং অজ্ঞান হয়ে যাওয়া। আপনার বা আপনার আশেপাশের কারো মধ্যে এই উপসর্গগুলো থাকলে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

মসজিদ কমিটিদের প্রতি অনুরোধ, মসজিদগুলো সার্বক্ষণিক খোলা রাখুন। শ্রমজীবী ও পথচারীদেরকে ওজুখানার পানি ব্যবহার করতে দিন। মসজিদের ভেতরে বিশ্রাম নিতে দিন।

সবার প্রতি অনুরোধ, ভবিষ্যতে তাপদাহ থেকে বাঁচতে চাইলে বেশি করে গাছ লাগান। গাছ বায়ুমন্ডল থেকে কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ করে। বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির মূল কালপ্রিট হলো গ্রীনহাউজ গ্যাস কার্বন ডাই অক্সাইড।

Share

Leave a Reply

Advertisement

x

Check Also

https://coxview.com/wp-content/uploads/2024/04/Election-Sagar-22-4-2024.jpeg

ঈদগাঁও উপজেলায় চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৭ জনের মনোনয়ন দাখিল

  নিজস্ব প্রতিনিধি; ঈদগাঁও : নির্বাচন কমিশন ঘোষিত দ্বিতীয় ধাপের তফশিল অনুযায়ী আগামী ২১ মে ...

https://coxview.com/coxview-com-footar-14-12-2023/