নিজস্ব প্রতিবেদক; ঈদগাঁও :
কক্সবাজার সদরের ঈদগাঁওতে এবার স্বামীর অমানুষিক নির্যাতনের শিকার হল স্ত্রী। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চান স্ত্রীর পরিবার-পরিজন।
তথ্য মতে ,চলতি বছরের ৯ই ফেব্রুয়ারী শরিয়ত সম্মতভাবে ঈদগাঁও ইউনিয়নের চৌধুরী পাড়ার জাফর আলমের কন্যা জাকিয়া সুলতানা উর্মির সাথে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হন দক্ষিণ মাইজ পাড়ার মৃত কালুর পুত্র মনজুর আলম। নতুন বিবাহের তিনদিন পর থেকে স্বামী তার স্ত্রীকে মারধর শুরু করে। গেল ঈদুল ফিতরের দুইদিন আগেই উর্মিকে মারধর করে স্বামী মনজুর। কিন্তু মারধর সহ্য করতে না পেরে স্ত্রী উর্মি পাশ্ববর্তী এক বাড়ীতে আশ্রয় নিয়ে অগোচরে তারই পিতা জাফরকে মুঠোফোনে বিষয়টি অবগত করলে, তাৎক্ষণিক তদন্ত কেন্দ্রের এএসআই মহিউদ্দিনকে নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে মেয়েকে উদ্ধার করে বাড়ীতে নিয়ে আসেন পিতা।
উর্মির হাটু ও মাথায় আঘাত রয়েছে এবং গলায় উড়না দিয়ে ছিবিয়ে ধরে, পেটেও লাথি মেরেছেন বলে এমনটি জানালেন মনজুরের স্ত্রী।
অমানুষিক নির্যাতনের শিকার উর্মিকে ঈদগাঁও সেন্ট্রাল হাসপাতালে ডা: তৃনা সাহার তত্বাবধানে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়।
এছাড়া মনজুর তার শশুর জাফরের কাছ থেকে ও নানা সময়ে টাকা দাবী করে আসছে। সেই সাথে শাশুড়ীকেও মুঠোফোনে নানান হুমকি ধমকি দিচ্ছেন বলেও অভিযোগ তুলেন তারা।
উর্মির জেঠা আবুল কাসেম হতাশ কন্ঠে বলেন, শশুর বাড়ীতে মেয়েদেরকে এভাবে নির্যাতন জীবনে আর দেখিনি। তিনি এ নির্যাতনের সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ বিচার দাবী করেছেন।
মেয়ের পিতা জাফর এবং মাতা রিনা আক্তার জানান, মারধরসহ নির্যাতনের ঘটনায় মনজুরের এলাকায় সামাজিকভাবে বিচার করা হলেও এসবকে কর্ণপাত না করে আবারো মারধর করে মেয়েকে। তদন্ত পূর্বক এর বিচার চান তারাও।
উর্মির ভাবী ও দাদী জানান, মনজুর শশুর বাড়ীতে এসে গর্জে উঠে বলে যে, স্ত্রী উর্মিকে ৪ মাস তার বাড়ীতে রাখবো। তারপর পাঠিয়ে দেব।
নির্যাতনের শিকার মনজুরের স্ত্রী উর্মি জানান কারনে-অকারনে স্বামী মনজুর তার বড় ভাবীর কথায় ও তার সাথে তাল মিলিয়ে প্রায়শ মারধর করে থাকে।
তবে স্থানীয় মেম্বার মুন্না পালের সাথে কথা হলে মেয়েকে স্বামীর মারধরের বিষয়টি জাফর আলমের কাছ থেকে শুনেছেন বলে জানান।
অভিযুক্ত স্বামী মনজুরের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
You must be logged in to post a comment.