সাম্প্রতিক....
Home / প্রচ্ছদ / নারী ও শিশু / নবজাতকের মরদেহ জিম্মি করে ৫০ হাজার টাকা দাবী

নবজাতকের মরদেহ জিম্মি করে ৫০ হাজার টাকা দাবী

প্রসূতি মা চন্দ্রতি ত্রিপুরা

মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম; লামা :

বান্দরবানের লামার গজালিয়া ইউনিয়নে নবজাতকের মরদেহ জিম্মি করে দরিদ্র মায়ের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা দাবী করার অভিযোগ উঠেছে। অসহায় মা চন্দ্রতি ত্রিপুরা (৩৫) ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড গতিরাম ত্রিপুরা পাড়ার সিয়ান্দ্র ত্রিপুরার স্ত্রী। সে তিন সন্তানের জননী।

একান্ত আলাপকালে প্রসূতি মা জানায়, আমি গর্ভবতী ছিলাম। গত শনিবার (৫ আগষ্ট) আবার বাবা রুবিরাম ত্রিপুরার বয়স্ক ভাতার বিষয়ে আমার স্বামী সিয়ান্দ্র ত্রিপুরার কাছে দেখা করতে লামা বাজারে যাই। সে লামা বিলছড়ি খ্রিষ্টান মিশনে চাকুরী করে। গাড়ীযোগে যাওয়ার পথে ভাঙ্গা রাস্তায় ঝাকুনী লেগে আমার প্রচুর রক্তক্ষরণ শুরু হয়। সেখান থেকে বাড়িতে ফিরে এসে প্রসব ব্যাথা শুরু হলে শনিবার দিবাগত রাত প্রায় ১ টায় আমি মৃত সন্তান প্রসব করি। আমাদের সমাজে সন্তান প্রসবকালে আশপাশে কোন পুরুষ থাকে না। গভীর রাতে মৃত সন্তানটি আমার আত্মীয় ও ধাত্রীরা বাহিরে রেখে আসতে গেলে তাড়াহুড়া করে বিলের পানিতে ফেলে আসে।

সোমবার বিকেলে বিলের পানিতে মরদেহটি ভাসতে দেখে বিলের মালিক সজরাম ত্রিপুরা ও তার স্ত্রী সাবেক মেম্বার প্রিতমা ত্রিপুরা নবজাতকটিকে তুলে নেয়। বিলের পানিতে মরদেহ ফেলার কারণে রাতে সামাজিকভাবে বৈঠক বসে আমাদের কাছ থেকে মাছ ও পানি নষ্ট হয়েছে বলে ৫০ হাজার টাকা দাবী। আমি দরিদ্র মানুষ। কিভাবে এত টাকা দিব।

গতিরাম পাড়ার বাসিন্দা হেবল ত্রিপুরা (৪০) বলেন, সোমবার রাত ৮টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত সজরাম ত্রিপুরার বাড়িতে গ্রাম্য বৈঠকে বসে স্থানীয় লোকজন ও জনপ্রতিনিধিরা।

বৈঠকে ৩নং ওয়ার্ড মেম্বার ইলিশা ত্রিপুরা, ওই পাড়ার ক্যজ হা ত্রিপুরা, আইনা চন্দ্র ত্রিপুরা ও শৈতজন ত্রিপুরা (মেয়ের ভাই) সহ প্রায় ৪০/৪৫ জন নারী পুরুষ উপস্থিত ছিলেন।

টাকা দাবী করার বিষয়ে সজরাম ত্রিপুরা মুঠোফোনে বলেন, আমার বিলের পুকুরে মাছ চাষ করেছি। ঘটনাটি জানার পর থেকে আমি পুকুরের মাছ বিক্রি করতে পারবনা বলে ক্ষতিপূরণ দাবী করেছি।

ইউপি মেম্বার ইলিশা ত্রিপুরা বলেন, বিলের মালিক সজরাম ত্রিপুরা ৫০ হাজার টাকা দাবী করলেও আমরা সামাজিকভাবে বৈঠকে বসে পুকুর সংস্কার ও ১০ কেজি মাছের পোনা বাবদ ১০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ প্রদানের সিদ্ধান্ত দেই।

লামা থানা অফিসার ইনচার্জ আনোয়ার বলেন, থানায় কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। মরদেহ জিম্মি করে টাকা দাবী করার বিষয়টি দুঃখজনক।

Share

Leave a Reply

Advertisement

x

Check Also

তীব্র গরমে লামা পৌর মেয়রের পক্ষ থেকে জনসাধারণের মাঝে পানি বিতরণ; কক্সভিউ ডট কম; https://coxview.com/water-distribution-lama-mayor-rafiq-30-4-24-1/

তীব্র গরমে লামা পৌর মেয়রের পক্ষ থেকে জনসাধারণের মাঝে পানি বিতরণ

লামা পৌরসভার মেয়র মোঃ জহিরুল ইসলাম এর পক্ষ থেকে লামা বাজারে জনসাধারণের মাঝে নিরাপদ পানি ...

https://coxview.com/coxview-com-footar-14-12-2023/