হুমায়ুন কবির জুশান, উখিয়া :
সীমান্তের উখিয়া-টেকনাফে সক্রিয় হয়ে উঠেছে জাল নোট চক্রের সদস্যরা। আসন্ন ঈদ মৌসুমকে সামনে রেখে তারা ব্যাপক তৎপরতা শুরু করেছে বলে এলাকার ভুক্তভোগীদেও অভিযোগ।
উখিয়া সদরের বাসিন্দা মোহাম্মদ জাবেদ জানান, সীমান্তের গরু বেচা-কেনার হাটসহ বিভিন্ন স্থানে জাল টাকার নোট বাজারে ছড়াচ্ছে একটি চক্র। এ আশংকায় এলাকার সচেতন মহল থেকে শুরু করে দৈনন্দিন প্রতিটি লেন-দেনের ক্ষেত্রে কোথাও না কোথাও জাল নোট বাজারে পাওয়া যাচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট আইন প্রয়োগকারী সংস্থার নজরদারির অভাবে এ চক্রটি প্রতি বছর ঈদ মৌসুমকে ঘিরে তৎপরতা শুরু করে। তবে উখিয়া থানা পুলিশের ওসি তদন্ত হাবিবুর রহমান জানান, পুলিশসহ অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সদস্যরা তৎপরতা আরো জোরদার করেছে। তিনি জানান, সীমান্তের অসাধু কতিপয় চোরাচালানী মিয়ানমারের চোরাই পণ্য পাচারের ক্ষেত্রে জাল টাকার লেন-দেন হয়ে থাকে বেশি। এছাড়া ইয়াবা নামক মাদকের ভয়ানক লেন-দেনের ক্ষেত্রেও এ জাল টাকার নোট বাজারে ছাড়ে।
গত ঈদুল ফিতরের সময় রোহিঙ্গা অধ্যুষিত কুতুপালং বাজার থেকে এক রোহিঙ্গা জাল টাকার ব্যবসায়ী এবং কোটবাজার ও মরিচ্যা থেকে আরো দুইজন জাল নোট চক্রের সদস্যকে গ্রেফতার করে। এ সময় তাদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়। তবে উখিয়া সদরে জাল নোটের কোন ব্যবসায়ী না থাকলেও রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির ভিত্তিক একটি চক্র তৎপর রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
জাল নোট চক্রের ব্যবসায়ী একাধিক সিন্ডিকেট সীমান্তের কক্সবাজার জেলা উখিয়া-টেকনাফসহ বিভিন্ন উপজেলায় সক্রিয় রয়েছে। প্রায় ডজনখানেক সক্রিয় জাল নোট পাচারকারীর চক্রের সদস্য থাকলেও রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির ব্যতিত অন্য কোন তথ্য পুলিশের অনুসন্ধানে মিলেনি।
উখিয়া সহকারী পুলিশ সুপার জসিম উদ্দিন মজুমদার জানান, জাল নোট চক্রের বিষয়ে পুলিশের বিশেষ নজরদারির পাশাপাশি কঠোর অবস্থানে রয়েছে।
সূত্র জানায়, একটি সংঘবদ্ধ চক্র ঢাকা-চট্টগ্রাম ভিত্তিক সিন্ডিকেট গড়ে তোলে কোটি কোটি টাকার জাল নোট সীমান্তের উখিয়া-টেকনাফে ছড়িয়ে দেয়ার মিশন নিয়ে মাঠে নেমেছে। তাছাড়া সীমান্তের চোরাচালানীরা মিয়ানমারের ব্যবসায়ীদের সাথে জাল টাকার লেন-দেন করে থাকে। এরা বর্তমানে এক হাজার টাকার নোটকেই বাজারে ছাড়তে কাজে লাগাচ্ছে।
You must be logged in to post a comment.