এম আবুহেনা সাগর; ঈদগাঁও :
মাতৃভাষা দিবসসহ টানা তিনদিনের ছুটিতে পর্যটন নগরী কক্সবাজারে পর্যটকের ঢল নেমেছে। পর্যটন স্পটগুলোতে নানান বয়সের পর্যটকদের ভীড় যেন লক্ষনীয়। পর্যটকদের নিরাপত্তায় সতর্ক রয়েছেন আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
দেখা যায়, ২১ ফেব্রুয়ারী (বৃহস্পতিবার) বিকেলে পূথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে হাজার হাজার ভ্রমণ পিপাসুদের বিচরণ যেন চোখে পড়ে। ঢাকা থেকে আগত কজনের সাথে কথা হলে জানান, অমর একুশে ফেব্রুয়ারী মাতৃভাষা দিবসের ছুটির সাথে সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলো তারা পর্যটন শহর কাটাতে আসে। বিশেষ করে, কক্সবাজারের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে তারা ধু-ধু বালু কনার কক্সবাজারে ভ্রমণে আসেন।
তাদের মতে, বার বার আসলেও কক্স বাজারের সৌন্দর্য যেন শেষ হবার নয়। কুমিল্লা থেকে আগত কয়েকজন জানান, সৈকতের নির্মল আবহাওয়া, মেরিন ড্রাইভ সড়কের দু’পাশের সাগর পাহাড়ের দৃষ্টিনন্দন দৃশ্য যেন মন কেড়ে নেয় ভ্রমণ পিপাসুদের। কক্সবাজার সত্যিই দেশবিদেশী পর্যটকদের জন্য একটি আকর্ষণীয় স্থান। তিনদিনের ছুটিতে ব্যাপক পর্যটক আসছে কক্সবাজারে।
হোটেল ব্যবসায়ীর মতে, বর্তমানে পর্যটক আগমনের স্রোত অনেক বেড়েছে। এখন সিজন বলে কথা নেই, সারা বছরই পর্যটক থাকে। সমুদ্র সৈকতের পাশাপাশি কক্সবাজারে পর্যটকদের বিস্তৃতি ঘটেছে ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক, হিমছড়ি, ইনানী, টেকনাফ প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে এবং মহেশখালীতে। এদিকে টানা তিনদিনের ছুটিতে পর্যটকরা কক্স বাজারমুখী হচ্ছে।
স্থানীয় যানবাহনের পাশাপাশি দূর-দুরান্তে ভ্রমণ করতে আসা পিকনিকের বাসে ভরপুর হয়ে উঠেছে। যাতে করে, সাধারণ লোকজন পায়ে হেঁটে চলাচল করতেও বিপাকে পড়েছে। ঈদগাঁওর এক যুবক কক্সভিউ ডট কম’র এ প্রতিবেদককে জানান, মাতৃভাষা দিবসের দিন বিকেলে বিশেষ কাজে কক্সবাজার গিয়ে মহাদূর্ভোগে পড়েছেন। বাংলাবাজার থেকে টার্মিনাল পর্যস্ত যানজটের দীর্ঘ লাইনের কবলে পড়েছে যাত্রীরা। দশ মিনিটের পথ দীর্ঘ দেড়ঘন্টা লেগেছে টার্মিনালে পৌছতে। আবার সেখানে থেকে কোন যানবাহন না পেয়ে পায়ে হেটে বাজারঘাটা যেতে হয়েছে তাকে।
You must be logged in to post a comment.