নিজস্ব প্রতিবেদক :
ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফা এই প্রকল্পে অর্থায়নে অত্যাধুনিক টেকনিক্যাল সেন্টার (সেন্টার অব এক্সিলেন্স) নির্মাণের জন্য পর্যটক জেলা কক্সবাজারে ২০ একর জমি বরাদ্দ পেয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)।
কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগ রামু উপজেলার খুনিয়াপালং ইউনিয়নের জঙ্গল খুনিয়াপালং মৌজার রিজার্ভ ফরেস্টের বন অধিদপ্তর কর্তৃক ২০ একর জমি গতকাল বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনকে (বাফুফে) হস্তান্তর করা হয়েছে। ফলে জমি অধিগ্রহণ করে স্থাপনা নির্মাণে আর কোনো বাধা থাকল না। বাফুফের অনুকূলে জমি বরাদ্দ দিয়ে গত ৭ জুন বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। তথ্য নিশ্চিত করেছেন বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ। তিনি জানান, অতি শীঘ্রই বাফুফে আনুষ্ঠানিকভাবে জমি বুঝে পাবে।
বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ। সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন, ‘গত ডিসেম্বরে জমির জন্য আমাদের তাগিদ দিচ্ছিল ফিফা। দেরি হলেও আমরা জমি বুঝে পেয়েছি। আশা করছি দ্রুত টেকনিক্যাল সেন্টারের কাজ শুরু হবে।’
জানা যায়, বাফুফে ও জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ অনেক দিন ধরেই জমির সন্ধান করছিল। কক্সবাজারের খুনিয়াপালং ছাড়াও টেকনাফের সাবারাং, খুরুশকুল ও জোয়ারিয়ানালা নামক এলাকায়ও জমি পরিদর্শন করেছিল তারা। কিন্তু কিছুতেই চাহিদা অনুযায়ী জমি মেলাতে পারেনি। টেকনিক্যাল সেন্টারটি নির্মাণের জন্য ফিফা ৩ থেকে সাড়ে ৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দেবে জানান বাফুফের সাধারণ সম্পাদক। আনুষ্ঠানিকভাবে জমি বুঝে পাওয়ার পর বাফুফে প্রয়োজনীয় কাগজ-পত্র জমা দিলেই ফিফা টেন্ডার প্রক্রিয়ায় যাবে। ‘এটা সেন্টার অব এক্সিলেন্স, এখানে জিমন্যাশিয়াম, আবাসিক হল, দুটি আর্টিফিসিয়াল টার্ফ এবং একাধিক ঘাসের মাঠ থাকবে।’ এখানে সব সুযোগ-সুবিধা নিয়ে জাতীয় দল অনুশীলন করতে পারবে। বিভিন্ন বয়সভিত্তিক দলের আবাসিক অনুশীলনের ব্যবস্থাও থাকবে এখানে।’
জমি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে ফিফার দক্ষিণ এশিয়ার ডেভেলপমেন্ট কর্মকর্তা প্রিন্স রোফাস, ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মেজবাহ উদ্দিন, স্হানীয় সংসদ সদস্য সায়মুম সরোয়ার কমল, জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ, বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ, বাফুফের সদস্য বিজন বড়ুয়া উপস্হিত ছিলেন।
You must be logged in to post a comment.