এম আবু হেনা সাগর; ঈদগাঁও :
বাজারে নিত্যপণ্যের পাশাপাশি আসন্ন কোরবানের মশলা সামগ্রী বা পাঁচ ফোড়ন বিক্রি হচ্ছে দ্বিগুন দামে। যার ফলে দুশ্চিন্তায় সাধারণ মানুষ।
একদিকে চাল, আটা, চিনিসহ বিভিন্ন ভোগ্যপণ্য বাড়তি দামে কিনতে হচ্ছে, অন্যদিকে আসন্ন ঈদুল আযহা পূর্বে কোরবানীর মশলা সামগ্রীর দাম বৃদ্ধিতেই হতাশ হয়ে পড়েছেন গ্রামাঞ্চলের লোকজন। আয়ের সাথে ব্যয় বৃদ্ধিতে মহাটেনশনে পড়ে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবার।
২০ জুন (মঙ্গলবার) কক্সবাজারের ঈদগাঁও বাজার দেখা যায়, সয়াবিন তেল খোলা প্রতি কেজি ১শত ৪৫ টাকা, বোতল ১শত ৮৫ টাকায় বিক্রি করেন বিক্রেতারা। তবে একেক দোকানে একেক দামে বিক্রি করে, নেই কোন নির্দিষ্ট পণ্য তালিকা।
দোকানদার বশর জানান, যে দামে কিনতে হচ্ছে, সেই দাম থেকে কিছু টাকা লাভ করে নিত্যপণ্যে সামগ্রী বিক্রি করা হচ্ছে। তবে পন্যের দাম বেড়েছে। ক্রয়ক্ষমতার বাইরে খাদ্য সামগ্রী।
পেঁয়াজ কেজি প্রতি ৫০/৫৫, রসুন ১৫০/১৬০, আদা ২শত ৫০, চিনি ১শ ৩০, আটার প্যাকেট ৭০ টাকা আর শুকনা মরিচ ৩৫০/৪০০টাকা বিক্রি করেছেন ব্যবসায়ীরা। কোরবানের অন্যান্য পাঁঁচ পৌড়নের দামও কিন্তু কম নয়। চাউল বাজারে চালের একেক দাম নিয়েও হিমশিম খাচ্ছেন ক্রেতা। বাড়লো কাঁচামালের দামও। বৃহৎ এলাকার গ্রামাঞ্চলের ক্রেতারা খাদ্যসামগ্রী দাম অতিরিক্ত হওয়ায় চরম বিপাকে।
বাজারে আসা ক্রেতা মোহা: আলম জানান, আয়ের চেয়ে ব্যয় বেড়েছে। সারাদিন কষ্ট করে দৈনিক আয় হয় ৪/৫শ টাকা। কিন্তু তেল ও চালে চলে যায় সবকটি টাকা। নুন আনতে পান্তা ফুরায় এমনি অবস্থা। ছেলেমেয়েসহ পরিবার পরিজনকে ভালভাবে কিছু খাওয়াতে পারছিনা ইচ্ছে থাকা সত্তেও অর্থের কারনে।
অসহায় ও হতদরিদ্র জিয়া জানান, দৈনিক কাজে যা আয় হয়,তা দিয়ে পরিবার চালানো বর্তমান সময়ে কঠিন হয়ে পড়ে। কোরবানে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দ্বিগুন দামে হিম শিম খাচ্ছি আমরা সাধারণ মানুষ।
সচেতন লোকজন জানান, জেলার ঐতিহ্যবাহী ঈদগাঁও বাজারে সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হউক। ঈদুল আযহার পূর্বে দাম স্বাভাবিক পর্যায়ে রাখার জোর দাবী।
You must be logged in to post a comment.