হামিদুল হক; ঈদগড় :
কক্সবাজার জেলার ঈদগড়ের বিভিন্ন স্থানে ভাইরাস জ্বর, সর্দি-কাশি ও ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়েছে। গত ২/৩ সপ্তাহ ধরে এই অবস্থা চলছে। প্রতিদিন অসংখ্যক রোগী উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও স্থানীয় চিকিৎসকদের ব্যক্তিগত চেম্বারে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
চিকিৎসকেরা জানান, ঈদগড়ের প্রতিটি গ্রামের প্রায় ঘরে ভাইরাস জ্বর, সর্দি-কাশি ও ডায়রিয়া আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। বিশেষ করে বৃদ্ধ ও শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছে বেশি। ঈদগড়ের করলিয়া মুরা গ্রামের গৃহিনী গোলজার বেগম ও শিশু মাহি জানান, তারা রমযানের শুরুতেই অসুস্থ হয়ে পড়ে। ভীষণ জ্বর, আর মাথা ব্যথায় অস্থির, এন্টিবায়োটিক ঔষধ খাওয়ার পরও তাদের গায়ের জ্বর কমছে না সাথে কাশিও বেড়েছে। একদিকে প্রচন্ড গরম অন্য দিকে শারীরিক অসুস্থতার মাঝে তারা রোজা রাখতে হিমশিম খেয়ে যাচ্ছে।
ঈদগড় বাজারের কয়েকটি পল্লী চিকিৎসকের চেম্বারে গিয়ে দেখা যায় বিভিন্ন বয়সের অনেক রোগী চিকিৎসার অপেক্ষায় আছেন। এর মধ্যে ভাইরাস জ্বর ও ডায়রিয়া আক্রান্ত পুরুষ, মহিলাও শিশু রয়েছে। ‘দিন যত বাড়ছে রোগীর চাপ তত বাড়ছে। চিকিৎসা দিতে হিমসিম খাচ্ছে স্থানীয় চিকিৎসকেরা।চিকিৎসা নিতে আসা এক শিশুর মা জানান, গরমের সঙ্গে চলছে লোডশেডিং। ঘরে থাকাই দায় হয়ে পড়েছে। অতিরিক্ত গরমে ঘেমে বাচ্চার শ্বাসকষ্ট শুরু হয়েছে।হাসনা কাটা এলাকার জসিম উদ্দীন জানান, গত সপ্তাহে তিনি ও তাঁর স্ত্রীসহ পরিবারের পাঁচ সদস্যের ভাইরাস জ্বরে এক সপ্তাহ পর্যন্ত কষ্ট পেয়েছেন।
স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বলেন, ‘এ সময়টা সবচেয়ে ঝুঁকিতে আছে শিশুরা। কারণ ভ্যাপসা গরমে শিশুদের সমস্যা হয় বেশি। এ জন্য মায়েদের সতর্ক থাকতে হবে। বাসি খাবার বাচ্চাকে খাওয়ানো যাবে না। জনৈক পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা বলেন, আবহাওয়া পরিবর্তনের সময় এ ধরনের রোগ দেখা দেয়। ভাইরাস জ্বরের পাশাপাশি সর্দি, কাশি ও গলা ব্যথা হয়। তবে এ নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। পাঁচ-সাত দিনের মধ্যে জ্বর সেরে যায়।’
You must be logged in to post a comment.