কৃতদাস হিসেবে নয়, সমান নাগরিক অধিকার নিয়ে ফিরতে চান রোহিঙ্গারা
হুমায়ুন কবির জুশান; উখিয়া :
মিয়ানমার থেকে নির্যাতিত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের মুখ থেকে ভয়াবহ নির্যাতন, ধর্ষণ ও হত্যার বিবরণ শুনলেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস ও বিশ্ব ব্যাংক প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিম।
২ জুলাই (সোমবার) উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা শিবিরে ওই সব নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের করুণ কাহিনী নিজের কানে শুনলেন তারা।
জাতিসংঘের মহাসচিব বলেন, আমি বাংলাদেশের কক্সবাজারের উখিয়া কুতুপালং ক্যাম্পে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে হত্যাকান্ড ও ধর্ষণের কথা শুনেছি। তারা ন্যায় বিচার চায় এবং নিরাপদে বাড়িতে ফিরতে চান। বাংলাদেশের মানবিকতার প্রশংসা করে তারা বলেছেন, রাখাইন রাজ্যে পরিকল্পিতভাবে স্মরণকালের ভয়াবহ এই গণহত্যা চালানো হয়েছে।
এ সময় কান্নাজড়িত কণ্ঠে গণহত্যার বিচার দাবি করেন রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ। রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নৃশংসতা যুদ্ধাপরাধের শামিল এবং মানবাধিকারের মৌলিক লঙ্ঘন। মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ভয়ঙ্কর নিপীড়নের বর্ণনা দিয়ে জাতিসংঘের মহাসচিব ও বিশ্ব ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট বলেন, রোহিঙ্গা মুসলিম জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যা নিপীড়নে জোরপূর্বক মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব, জাতীয়তা এবং নিজস্ব পরিচয় ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে। তাদের অবশ্যই নিজ দেশে ফেরত যেতে হবে কিন্তু কৃতদাস হিসেবে নয়। সমান নাগরিক অধিকার নিয়ে।
সোমবার সকালে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে তারা কক্সবাজার পৌঁছান। তাদের সঙ্গে রয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী, জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক বৈশ্বিক সংস্থা ইউএনএইচসিআর প্রধান ফিলিপ্পো গ্রান্ডি এবং জাতিসংঘের জনসংখ্যা তহবিল বিষয়ক নির্বাহী পরিচালক ড. নাতালিয়া খানেমসহ জাতিসংঘের অধীন বিভিন্ন সংস্থার প্রায় ডজন খানেক কর্মকর্তা। তারা প্রথমে যান উখিয়ার কুতুপালং ট্রানজিট ক্যাম্পে। সেখানে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেন জাতিসংঘের মহাসচিব ও বিশ্ব ব্যাংক প্রেসিডেন্ট।
You must be logged in to post a comment.