ডেস্ক নিউজ :
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, বিএনপি জিয়াউর রহমানের লাশ নিয়ে মিথ্যাচারের রাজনীতি করছে।
আরও বলেন, ব্যক্তি জিয়ার সঙ্গে কোনো বিরোধ নেই, তবে ইতিহাসের বিকৃতি চাই না। চন্দ্রিমা উদ্যানে জিয়ার লাশ নেই অথচ সেখানে শ্রদ্ধা জানাবেন, ইতিহাসের এমন বিকৃতি হতে দেওয়া যায় না। বিতর্কের অবসান ঘটাতে ডিএনএ পরীক্ষার চ্যালেঞ্জ দিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
বুধবার মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মহান মুক্তিযুদ্ধে নৌ-কমান্ডোদের বীরত্বগাথা ‘অপারেশন জ্যাকপট’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ সব কথা বলেন।
মোজাম্মেল হক বলেন, জিয়াউর রহমান সাধারণ কোন নাগরিক ছিলেন না, তিনি যেভাবেই হোক রাষ্ট্রপতি ছিলেন। কাজেই তার সে সময়ের কোন ছবি থাকবে না, এটা হতে পারে না।
সংসদ ভবনের আশপাশ থেকে জিয়ার ‘তথাকথিত মাজার’সহ মূল নকশা বহির্ভূত সকল স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার জন্য সংসদে বহুবার বক্তব্য দিয়েছেন বলে জানান মন্ত্রী। আবারও নকশা বহির্ভূত স্থাপনা সরিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে সংসদ ভবনকে মূল নকশায় ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানান।
‘মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রীর মুক্তিযোদ্ধা হওয়া’ নিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের প্রশ্ন তোলা নিয়ে সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, “এ প্রশ্নের জবাব দেওয়ার প্রয়োজন মনে করি না।”
বিএনপির স্থায়ী কমিটির প্রভাবশালী সদস্য নজরুল ইসলাম খান (১৯৭১ সালের ১৯ মার্চ গাজীপুরে পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে সশস্ত্র প্রতিরোধ কমিটির কোষাধ্যক্ষ ছিলেন আর মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী আহ্বায়ক ছিলেন) এবং গাজীপুরের বিএনপি নেতাদের কাছ থেকেই এ বিষয়ে জেনে নিতে মির্জা ফখরুলকে পরামর্শ দেন মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী। পাশাপাশি ফখরুল ও তার পরিবারের মুক্তিযুদ্ধের সময় কী ভূমিকা ছিল তা খতিয়ে দেখতেও মন্ত্রী সাংবাদিকদের পরামর্শ দেন।
এ সময় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব খাজা মিয়া, ‘অপারেশন জ্যাকপট’-এর লেখক মো. শাহজাহান কবির বীর প্রতীকসহ নৌ-কমান্ডো বীর মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
You must be logged in to post a comment.