সাম্প্রতিক....
Home / প্রচ্ছদ / আন্তর্জাতিক / কিয়েভে পানির জন্য দীর্ঘ লাইনে অপেক্ষা

কিয়েভে পানির জন্য দীর্ঘ লাইনে অপেক্ষা

অনলাইন ডেস্ক :

ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর তিব্র পানির সংকট দেখা দিয়েছে। হাজারো মানুষ লাইনে দাঁড়িয়ে পানি সংগ্রহ করছেন। এক বোতল পানির জন্য কিয়েভের মানুষ দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছেন। বাড়িতে পানির সরবরাহ না থাকায় পানির পাম্পগুলোতে এসে তারা ভিড় করছেন।

কিয়েভের মেয়র ভিটালি ক্লিটসকো জানিয়েছেন, রুশ হামলায় পানি, বিদ্যুৎ, বাঁধসহ জ্বালানি অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেক স্থানে বিদ্যুৎ, তাপ ও পানি সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে। অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার পাশাপাশি তাপ ও পানি সরবরাহ ব্যবস্থাপনাও নষ্ট হয়ে পড়েছে। এ হামলায় কিয়েভের ৮০ শতাংশ এলাকায় পানি সরবরাহে ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। বিদ্যুত্হীন কিয়েভ থেকে অনেক মানুষ চলে যাচ্ছেন নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে।

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, শনিবার বন্দর নগরী সেভাস্টোপোলে ড্রোন হামলা চালিয়ে রাশিয়ার একটি যুদ্ধজাহাজ ধ্বংস করেছে ইউক্রেন। জবাব হিসেবে এই হামলা চালানো হয়েছে। পাশাপাশি কৃষ্ণ সাগরের বন্দর দিয়ে শস্য রপ্তানি চুক্তিতে অংশগ্রহণ স্থগিত ঘোষণা করেছে রাশিয়া। কৃষ্ণসাগরীয় নৌবহরে ওই হামলার জন্য ইউক্রেনকে দায়ী করে সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে পুতিন বলেন, জাতিসংঘের উদ্যোগে হওয়া চুক্তি অনুযায়ী ইউক্রেনের শস্যবাহী জাহাজগুলো কৃষ্ণসাগরের যে করিডোর ধরে যাতায়াত করে, কিয়েভের হামলাকারী ড্রোনগুলো সে পথই ব্যবহার করেছে। রাশিয়া জানিয়েছে, ইউক্রেনের সামরিক স্থাপনা এবং জ্বালানি ব্যবস্থা ছিল তাদের হামলার লক্ষ্য, এবং সব লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে।

ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় রাজধানী কিয়েভ ছাড়াও ক্ষতিগ্রস্ত অন্যান্য এলাকার মধ্যে রয়েছে লাভিভ, খারকিভ, জাপোরিজা এবং দনিপ্রপেট্রোভস্ক। ইউক্রেনের কর্মকর্তারা বলেছেন, মোট ১০টি অঞ্চলের ১৮টি স্থাপনা, যার বেশিরভাগই জ্বালানি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

সোমবার সকালে ইউক্রেনের ওপর রাশিয়া থেকে অন্তত ৫০টি ক্রুজ মিসাইল ছোঁড়া হয়েছে বলে দেশটির কর্তৃপক্ষ জানায়। ইউক্রেন পুলিশ জানিয়েছে, রাশিয়ার সর্বশেষ এ হামলায় ১৩ জন আহত হয়েছে।

এদিকে জাতিসংঘ ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় হওয়া শস্য রপ্তানি চুক্তি রাশিয়া স্থগিত করার পর কৃষ্ণ সাগরের নিরাপত্তা করিডোর দিয়ে জাহাজ চলাচল ‘অগ্রহণযোগ্য’ বলে মন্তব্য করেছে মস্কো। তারা পরিষ্কার করে জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতায় ইউক্রেনের সঙ্গে হওয়া ওই শস্য চুক্তি থেকে রাশিয়া সরে যায়নি শুধু সেটি স্থগিত করেছে। কিন্তু ওই রুটে জাহাজ চলাচল অব্যাহত থাকলে রাশিয়া কী করবে সে বিষয়ে কিছু বলেনি রাশিয়া।

ক্রেমলিন বলেছে, রাশিয়ার নিরাপত্তা প্রতিশ্রুতি ছাড়া ওই শস্য চুক্তি কার্যকর হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম আর এর ধরনও পাল্টে যাবে- অনেক বেশি ঝুঁকিপূর্ণ, বিপজ্জনক ও নিশ্চয়তাহীন হয়ে পড়বে। রাশিয়া এই চুক্তি থেকে ‘নিজেদের সরিয়ে নিয়ে ক্ষুধা দিয়ে বিশ্বকে ব্ল্যাকমেইলিং করছে’ বলে অভিযোগ করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।

Share

Leave a Reply

Advertisement

x

Check Also

https://coxview.com/wp-content/uploads/2024/04/Election-Sagar-22-4-2024.jpeg

ঈদগাঁও উপজেলায় চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৭ জনের মনোনয়ন দাখিল

  নিজস্ব প্রতিনিধি; ঈদগাঁও : নির্বাচন কমিশন ঘোষিত দ্বিতীয় ধাপের তফশিল অনুযায়ী আগামী ২১ মে ...

https://coxview.com/coxview-com-footar-14-12-2023/