শরণার্থী জীবনের এক বছর পূর্ণ হওয়ায় কক্সবাজারের কুতুপালংয়ে ক্যাম্পে ক্যাম্পে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন রোহিঙ্গারা। এরমধ্যে ৫ নম্বর ক্যাম্পের মধুরছড়া পয়েন্টে সবচেয়ে বড় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এসময় নাগরিকত্ব দিয়ে নিজ দেশে ফেরত নেয়া ও গণহত্যার বিচারসহ বেশ কিছু দাবি জানান বক্তারা। গত বছর ২৫ আগস্ট মিয়ানমার সেনাবাহিনী নির্যাতনে মুখে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে প্রায় ৮ লাখ রোহিঙ্গা।
রোহিঙ্গা নেতা মো. মসিউল্লাহ বলেন, ‘আমাদের রোহিঙ্গা হিসেবে স্বীকৃতি, নাগরিকত্ব, মৌলিক অধিকার দিতে হবে এবং গণহত্যার বিচার করতে হবে। আমরা নির্যাতিত কেউ না কেউ বাবা, মা ও বোন হারিয়েছি। তাদের বিচার না পেলে গিয়ে কি করব?
আরেক নেতা বলেন, ‘ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ১৮৩৪ জন, নিহত হয়েছেন কয়েক হাজার, আগুনে পোড়ানো হয়েছে ৭২৫০০ টি বাড়ি, ৯০৬ টি মসজিদ ও ৯৫১ টি স্কুল। এসবের বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমরা বিশ্ববাসীর কাছে দাবি জানাতে থাকবো।’
কালোদিবসে কুতুপালং ক্যাম্পে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে রোহিঙ্গা নেতারা বলেন, নিজ দেশে চরম নির্যাতনের শিকার হয়ে পালিয়েছি। বাংলাদেশ সরকার আমাদের মমতায় আশ্রয় দিয়েছে। সব রকমের সহযোগিতাও দিচ্ছে। এ ঋণ কখনো শোধ হবার নয়। কিন্তু আশ্রিত হয়ে আমরা কতদিন অন্যের ঘাড়ে পড়ে থাকব। সবকিছু পেলেও এখানে অনেক প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। কিছুদিন পর আমরা এদেশের বোঝাতে পরিণত হব। তাই স্বদেশে ফিরে যেতে চাই। আন্তর্জাতিক মহলকে অনুরোধ জানাচ্ছি, মিয়ানমারের ওপর চাপ প্রয়োগ করুন। যাতে তারা আমাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসন করায়। কারণ আমাদের নিতে মিয়ানমার সামরিক জান্তা টালবাহানা শুরু করেছে
বিক্ষোভ মিছিলে এক রোহিঙ্গা বলেন, আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্যই আমরা আজকের এ বিক্ষোভ করেছি। আমরা কি চাই তাই জানানোর জন্যই আমাদের এ প্রয়াস।আমরা যুদ্ধ চাই না, শান্তি চাই। নিজ দেশে ফিরে যেতে চাই। আর সেজন্য আন্তর্জাতিক মহলের সহযোগিতা চাই। আমরা সেদিন ঘটনার জন্য দোষীদের বিচার চাই।
এ ছাড়া সেদিনের ঘটনার মিয়ানমারের সামরিক জান্তা সরকারের আন্তর্জাতিক আদালতের বিচারের মুখোমুখি করার আহ্বান জানান রোহিঙ্গা নেতারা।
সূত্র:somoynews.tv;ডেস্ক।
You must be logged in to post a comment.