এম আবুহেনা সাগর; ঈদগাঁও :
কক্সবাজার সদর উপজেলার উপকূলীয় ইউনিয়নের পোকখালী গোমাতলীর পাউবো বেড়িবাঁধের ৬৬/৩ পোল্ডারের বিশাল ভাঙন এলাকা দিয়ে প্রতিনিয়ত জোয়ার-ভাটার কারণে সংশ্লিষ্ট এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসীর সাথে এক জরুরী বেঠকে মিলিত হয়েছেন কক্সবাজার পাউবো নির্বাহী কর্মকর্তা মো: সবিবুর রহমান।
১৩ অক্টোবর শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে পোকখালী ইউপি চেয়ারম্যান রফিক আহমদের নেতৃত্বে প্রায় শতাধিক পরিবারের লোকজন সংশ্লিষ্ট ভাঙায় দ্রুত নির্মাণ কাজ শুরু করার দাবী জানালে পাউবো নির্বাহী কর্মকর্তা আগামী শুক্রবার সকালে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারসহ ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করে দৃশ্যমান কাজ করা হবে বলে আশ্বস্থ করেছেন।
এ সময় তিনি, ১ কোটি ৬০ লক্ষ টাকার বরাদ্ধকৃত বেড়িবাঁধের সংস্কার কাজে এলাকাবাসীর সার্বিক সহযোগিতাও কামনা করেন। এ জরুরী বৈঠকে জালালাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান ও সাবেক ছাত্রনেতা ইমরুল হাসান রাশেদ, গোমাতলী ভূমিহীন সমিতির নেতা ছৈয়দ আকবর, সদর আ’লীগ নেতা মহিদুল্লাহ, প্রবীণ মুরব্বী আলহাজ্ব সিরাজুল ইসলাম, মো: ইউছুফ, হাবিবুর রহমান, আবদুল গফুর এমএ, আবদুল মান্নান, নুরুল আমিন, এসএম ছৈয়দ উল্লাহ, নুরুল হুদা, নাজিম উদ্দীন, সাবেক মেম্বার শরীয়ত উল্লাহ খাঁন, দেলোয়ার হোসেন, গোমাতলী সমবায় কৃষি ও মোহাজের উপনিবেশ সমিতির সভাপতি সেলিম উদ্দীন, সম্পাদক মুসলেম উদ্দীন, পরিচালক আবদুর রহিম, নুরুল আজিম, হাবিবুর রহমান, জিয়াউল করিম মিন্টু, মিজবাহ উদ্দীন ভুট্টু, মো: হাসান,মুজিবুর রহমান মফিজুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, লবণ-চিংড়ী ও মৎস উৎপাদন অঞ্চল গোমাতলীর বেড়িবাঁধ ২০১৬ সালের রোয়ানু ও ২০১৭ সালের ৩০ মে মোরা’র আঘাতে বিরাণভূমিতে পরিণত হয়েছে। সহায় সম্বল হারিয়ে সর্বস্বান্ত হয়েছে এলাকার ২০ হাজার মানুষ। গোমাতলী জোয়ার-ভাটার খেলায় পরিণত হয়েছে কারন এলাকায় এখন টেকসই বেড়িবাঁধ নেই। এলাকার মানুষ দীর্ঘ ১৫ মাস যাবৎ দাবী করে আসছে সংশ্লিষ্ট এলাকায় টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের জন্য।
You must be logged in to post a comment.