কক্সবাজারের চকরিয়ায় পৌরসভার নির্বাচন ঘনিয়ে আসছে। আগামী ২০ মার্চ প্রথম শ্রেণীর এই পৌরসভার ৪র্থ নির্বাচন। ৫ মার্চ প্রতিক বরাদ্দের দিন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা প্রচারণা শুরু করেছে জুরে-শুরে। পাশাপাশি এই প্রচারণা করতে গিয়ে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে বেশীর ভাগই নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘন করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। দেয়াল ও বৈদ্যুতিক খুঁটিতে পোষ্টার সাটানোর পাশাপাশি প্রচারণায় বেঁধে দেয়া নির্দিষ্ট সময়সীমাও মানছেনা অনেকে।
এসব অভিযোগের ফলে নির্বাচন অফিস আচরণ বিধি রোধকল্পে মাঠে নামিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত টিম। দুইদিন ভ্রাম্যমাণ আদালত বিএনপি মেয়র প্রার্থী ও তিনজন কাউন্সিলর প্রার্থীকে অর্ধদন্ড দিয়েছে। অপর এক কাউন্সিলর প্রার্থীর কর্মীকে নিয়ে গেলেও এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত কোন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি।এসব প্রার্থীর পক্ষে কর্মীরা দেয়ালে পোষ্টার লাগানোর সময় ধরা পড়ায় এই দন্ড। নির্বাচন অফিস প্রার্থীদের দেয়ালে লাগানো পোষ্টার উঠিয়ে ফেলতে দু’দফায় সময় সীমা নির্ধারণ করে দিলেও কেউ মানছেনা এই নির্দেশনা।
তবে, প্রার্থীসহ স্থানীয় ভোটারদের সাথে আলাপ করে জানা গেছে ভিন্নমত। তারা বলেন, সিংহভাগ প্রার্থী আচরণ বিধি সম্পর্কে সচেতন নন। দেয়ালে পোষ্টার লাগানো যাবেনা সেটাও জানেনা অনেকে। তাই আচরণ বিধি নিয়ে প্রার্থীদের সাথে বৈঠক করে সচেতন করানো নির্বাচন অফিসের প্রয়োজন বলে সবার অভিমত।
এদিকে মঙ্গলবার সকাল থেকে পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে চকরিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো.রফিকুল হকের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়েছে। সহকারী রির্টাণিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন ও একদল পুলিশকে সাথে নিয়ে চালানো অভিযানকালে দেয়ালে পোষ্টার লাগানোর সময় কর্মী আটক হওয়ায় অর্থদন্ড দেয়া হয় মেয়র প্রার্থী ও তিন কাউন্সিলর প্রার্থীকে।
আচরণ বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে অর্থদন্ডে দন্ডিতরা হলেন- বিএনপি’র মেয়র প্রার্থী আলহাজ্ব নুরুল ইসলাম হায়দারকে ১৫ হাজার টাকা, ১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী নুর হোসেনকে ১০ হাজার টাকা, ২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী হাজী আবুল কালামকে ৫ হাজার ও ৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী হেলাল উদ্দিনকে ৬ হাজার টাকা।
You must be logged in to post a comment.