মুকুল কান্তি দাশ; চকরিয়া :
যে যে পেশারই হোকনা কেন চাইলে নিজ নিজ স্তর থেকে অনূকরণীয় দৃষ্টান্ত রাখতে পারেন। নিজেদের ডিপার্টমেন্টে অভ্যন্তরীণ আয়োজন বাদ দিয়ে তেমনই নজির সৃস্টি করলেন কক্সবাজারের চকরিয়া থানা পুলিশ।
শুক্রবার বিকেলে বন্যাকবলিত লক্ষ্যারচর, কাকারা ও সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়নে ইফতারি বিতরণ করে এই নজির সৃষ্টি করলেন পুলিশ।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে ঘূর্ণিঝড় মোরার রেশ না কাটতেই পাহাড়ী ঢলের ছোবলে ক্ষতবিক্ষত হয়েছে চকরিয়ার বেশক’টি ইউনিয়ন। তার মধ্যে অন্যতম কাকারা, সুরাজপর-মানিকপুর ও লক্ষ্যারচর। এই তিনটি ইউনিয়নের মধ্যে কাকারার উত্তর ও পূর্ব পাড়ার অন্তত দুইশত পরিবার টানা ৬দিন ধরে পানি বন্দী রয়েছে। বাইশ্যার ছড়া ও নলবিলা খাল খনন না হওয়ায় ঢলের পানি জমে থেকে ভয়াবহ জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় এ অবস্থা।
এদিকে ১৫ জুন ছিল চকরিয়া থানা পুলিশের ইফতার পার্টির নির্ধারিত দিন। কিন্তু বন্যায় করুণ অবস্থায় থাকা মানুষের খবর পেয়ে পুলিশ তাদের ইফতারের আয়োজন বাতিল করেন। ওই আয়োজনের আটশত প্যাকেট ইফতারি শুক্রবার তিন ইউনিয়নে বিতরণ করা হয়।
তা বিতরণ করেন কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার ড. এ.কে.এম ইকবাল হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রশাসন আফরুজুল হক টুটুল, চকরিয়া সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার কাজি মতিউল ইসলাম, চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মিজানুর রহমান সাথে ছিলেন, চকরিয়া প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি এম জাহেদ চৌধুরী, কাকারা ইউপি চেয়ারম্যান শওকত ওসমান প্রমুখ।
ইফতার বিতরণকালে পুলিশ সুপার ইকবাল হোসেন বলেন, ব্যক্তি বা কোন দপ্তর কর্তৃক অনুষ্টান করে ইফতার করার চেয়ে ওই খাদ্য বন্যা কবলিত অনাহারীদের মাঝে বিতরণ উত্তম মনে হওয়ায় এই আয়োজন।
You must be logged in to post a comment.